মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৫৫
ঢাকা: দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাঙ্গামাটি, কমিল্লা, মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সারাদেশে এদিন রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে পরবর্তী তিন দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বদলগাছীতে ৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও শ্রীমঙ্গলে ৬ দশমিক ৫, তেঁতুলিয়ায় ৬ দশমিক ৮, সৈয়দপুর ৭ দশমিক ৮, ঈশ্বরদীতে ৭ দশমিক ৯, দিনাজপুর ও রাজারহাটে ৮ দশমিক ০, নেত্রকোনায় ৮ দশমিক ৪, চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৫, ডিমলায় ৮ দশমিক ৭ এবং তাড়াশে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ০, রংপুরে ৯ দশমিক ৪, ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৪, সিলেটে ১০ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৪ দশমিক ৪, খুলনায় ১৩ দশমিক ৮ এবং বরিশালে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
ঢাকায় এদিন উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ। এদিন সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে।
সারাবাংলা/পিটিএম