Wednesday 27 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফারদিনকে নিয়ে বাবার কবিতা

সারাবাংলা ডেস্ক
২০ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৫৩

ঢাকা: সন্তানের লাশ দেখেই শোকে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন কাজী নূর উদ্দিন রানা। ২৫ বছর ধরে তিলে তিলে গড়া স্বপ্ন যে ভেঙে গেছে নিমিষেই। ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে দাবি তার। আর তাইতো বিচারের আশায় আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন তিনি।

প্রানপ্রিয় সন্তান ফারদিন নূর পরশকে স্মরণ করে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে ‘কেড়ে নিলে দান’ শিরোনামে একটি কবিতা লিখেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নিখোঁজের তিনদিন পর গত ৭ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। লাশ উদ্ধারের পর র‌্যাব জানিয়েছিল, ফারদিনকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তেও তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকও। তবে তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।

তার লেখা কবিতাটি সারাবাংলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো;

কেড়ে নিলে দান
-নূরউদ্দিন রানা
সৃজিলে কত সুন্দর করে প্রভু,
কত কুশল, কত যতনে;
আহা কী-যে রূপ, কত মায়াময়…
চক্ষু না জুড়ায় যত দেখি, যত দেখি
তৃষ্ণা মেটে না মনের, অবুঝ হৃদয়…
আহা ভারি সুন্দর; বড় মায়াময়।
উদার দান তুলে দিয়েছিলে তারে
তোমার বিস্ময়-সৃজন উপহার
এক মহিয়সী মা’রে, লালনের তরে;
আমিও পেয়েছিনু কতটা ভাগ তারি,
সংসার পরিবার চলছিল তাতে বেশ
আমোদে আহ্লাদে, প্রীতিডোরে প্রাণময়।
হঠাৎ কী ভেবে, কী মনে করে, বুঝতে না পারি;
বড় নির্দয়ে আচমকা কেড়ে নিলে একেবারে,
ভাসালে শোক-সাগরে, তুমি কি বড় স্বার্থপর প্রভু?
তোমারে বোঝা সাধ্য-অতীত,
তুমি বড় বিস্ময়…, তোমারে বোঝা দায়,
বিস্ময়-বালক ছিল যে মোদের ফারদিন;
তা-কি বুঝতে পেরেছি মোরা,
কিবা মেরেছে যারা নির্মম আঘাতে বার বার…
কী অপরাধ ছিল তাঁর? কিবা আমার!
এভাবে বিরহ ঘোচালে প্রভু তোমার, কেড়ে নিলে দান…
ভালবাসো যারে বেশি, কাছে তারে টেনে নাও দ্রুত;
এভাবেই খেলিছ খেলা বিরাট শিশু তুমি,
বিশ্ব ল’য়ে আনমনে, তোমারে বোঝা বড় দায়!
এই ভেবে শোক ভুলে থাকা, পাষাণ-ভারি বুকে;
এই ভেবে দুঃখ নেই, সান্ত্বনা খুঁজি শুধু
বিরাট শিশু তুমি, খেলিছ খোকারে সাথী করে…
তাই নির্ভয়, শূন্যদৃষ্টি ঊর্ধাকাশে।
তবুও চারপাশে খুঁজি খোকারে, অবুঝ হৃদয়;
যদি আরবার দেখি, যদি আরবার বাবা বলে ডাকে…
সেই মায়াকাড়া চোখ-মুখ খোকার, কী-যে প্রাণবন্ত
সৌম্যকান্তি দীর্ঘ বদন, গুণধর অতি, ছিল শিষ্টাচারী সজ্জন;
দেখার আকুতি তাই বড় বেশি,
কান্না হয়ে ঝরে বারে বারে…
শোকাশ্রু বাষ্প হয়, অদৃশ্যে মিলায়;
খুঁজিছে ঘাতকেরে …।

বিজ্ঞাপন

 

সারাবাংলা/এনইউ

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর