উন্নয়ন নিয়ে যা বললেন নজরুল ইসলাম খান
২১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৪৫
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘দেশে উন্নয়নের জোয়ার চলছে বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। উন্নয়ন বলতে সরকার কী বোঝাতে চায়? উন্নয়ন হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের, যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন। কোভিডের মধ্যেও যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছেন।’
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আগে শুনতাম ছাত্ররা নকল করে, এখন শুনি শিক্ষকরাও নকল করে। আগে ভোট হতো দিনে, এখন হয় রাতে। আগে মানুষ থাকতো ফার্স্ট হোমে এখন থাকে সেকেন্ড হোমে। আগে শুনতাম গুলশান-বনানী, এখন শুনি বেগম পাড়া। বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে টাকা লুট করে বানানো হচ্ছে এসব বেগম পাড়া। এই উন্নয়নে আমরা বাস করছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা দুই হাজার কোটি টাকার মালিক। তাহলে মূল দল ও কেন্দ্রীয় নেতারা কী পরিমাণ টাকার মালিক! তারা কী পরিমাণ লুটপাট করেছে? শেয়ার বাজার লুট হয়েছে, ব্যাংক আজ ফোকলা।’
জিয়াউর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যে মানুষটিকে সবচেয়ে বেশি স্মরণ করার কথা, শ্রদ্ধা করার কথা, বাংলাদেশ বিনির্মাণে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, সেই জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আজ সমালোচনা করা হচ্ছে। জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের শত্রুরাও বলতে পারবে না তিনি দুর্নীতি করেছেন। তার ব্যাংকে কোনো টাকা ছিল না, ঢাকায় তার কোনো বাড়ি নেই। কোনো ভাই-বোন বা নিকট আত্মীয়কে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা দেননি।’
‘তারই সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম করে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। আজ সেই নেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্তরীণ করে রেখেছে। দেশ ও গণতন্ত্র উদ্ধারে আজ প্রয়োজন বিপ্লব। আর এ বিপ্লবে দলমত নির্বিশেষে সকলকে অংশ গ্রহণ করতে হবে’— বলেন নজরুল ইসলাম খান।
সংগঠনের সভাপতি ডা. আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, কেন্দ্রীয় আব্দুল্লাহীল মাসুদ, প্রফেসর ডা. হাসনাত আলী, প্রফেসর আবু জাফর খান, প্রকৌশলী রুহুল আলম প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এনএস