ঢাকা: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে চলমান বিশ্ব সংকটে কর্মী ছাঁটাই না করে ব্যবসায় টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) ডিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, ২০২৩ সালে কর্মী ছাঁটাই না করে প্রফিট মার্জিন কমিয়ে হলেও ব্যবসায় টিকে থাকাই হবে বড় সফলতা। আমরা দেখেছি মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান ১০ থেকে ১২ হাজার কর্মী ছাটাইয়ের ঘোষণা এসেছে। জাপানের মতো দেশে মুদ্রাস্ফীতি গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেখানে বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। ফলে চলতি বছরের প্রত্যাশা হবে কর্মী ছাটাই না করে ব্যবসায় টিকে থাকা।
এসময় সহসভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীরসহ সংগঠনটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, মনিটরিং পলিসি ছয় মাস পর পর হচ্ছে। আমরা চাইব তিন মাস পর পর পলিসি করা। বিদ্যমান পলিসি দিয়ে সবসময় চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পলিসি পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কর আহরণের হার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। আমাদেরে ৭৫ লাখ লোকের টিন নাম্বার থাকলেও মাত্র ২০ থেকে ২৫ লাখ লোক রিটার্ন দাখিল করছেন। এই অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। কর আহরণের পরিমাণ বাড়াতে হাবে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের মোট ট্যাক্স ভ্যাট আহরণের ৮৯ শতাংশের বেশি আসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে। তার মানে কি বাকি জেলাগুলোতে ধনী লোক নাই। করযোগ্য সবাইকে করের আওতায় আনতে হবে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সামীর সাত্তার বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি অত্যাবশ্যক ছিল। জ্বালানি সংকটের এসময়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে বড় ও শিল্প পর্যায়ে। বড় বড় শিল্পগুলোকে ঠিক করতে হবে কীভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাব শিল্প পণ্যের ওপর পড়বে। গ্যাসের দাম কীভাবে সমন্বয় করবে তা শিল্প মালিকদের ঠিক করতে হবে। তারা কর্মী ছাঁটাই করে করবে নাকি প্রফিট মার্জিন কমিয়ে আনবে।
রমজানে পণ্যের দামের লাগাম টেনে ধরার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রস্তাব এলসি মার্জিন কমিয়ে আনা। বাজার মনিটরিং আরেকটি পদক্ষেপ হতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রবাসীদের মূল্যায়ন করতে হবে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি প্রবাসীরাও রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন।