Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাবুলের রিমান্ড নামঞ্জুর, আইনজীবীদের সঙ্গে ‘বৈঠক’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:০৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ইউটিউবে অসত্য ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় কারাবন্দি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। পাশাপাশি নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে এক ঘণ্টা কথা বলারও অনুমতি দেন আদালত।

রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আব্দুল হালিম এ আদেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার দায়ের করা মামলাটির তদন্ত সংস্থা চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। ওনার (বাবুল) আইনজীবীরা একান্তে কথা বলার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত সহকারী পুলিশ কমিশনারের কক্ষে এক ঘণ্টা কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন।’

বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, দুপুর সোয়া ২টা থেকে তারা প্রায় এক ঘণ্টা বাবুল আক্তারের সঙ্গে মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেছেন।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর স্ত্রী খুনের আসামি বাবুল আক্তার ও মার্কিন প্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনসহ চার জনের বিরুদ্ধে নগরীর খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন পিবিআই পুলিশ সুপার (মেট্রো) নাঈমা সুলতানা। ২৪ নভেম্বর ওই মামলায় কারাবন্দি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাবুল আক্তার, তার ভাই ও বাবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইন বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় গত ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে: খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ৪২মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন। ওই ভিডিওতে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে প্রচার করা হয়।

গত ৩ জানুয়ারি বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবু চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।

স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআই গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু। এদের মধ্যে মুছা ও কালু পলাতক।

অভিযোগপত্রে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই বলেছে, ‘পরকীয়ার ঘটনা জেনে যাওয়ায়’ সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তার ‘সোর্সদের দিয়ে’ স্ত্রী মিতুকে ‘খুন করান’ বলে উঠে এসেছে তাদের অনুসন্ধানে। ২০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে মোট সাক্ষী করা হয়েছে ৯৭ জনকে। তাদের পাঁচজন এ মামলার বর্তমান ও সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মাহমুদা খানম মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। পিবিআইয়ের তদন্তে বাদী বাবুল আক্তারই স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে এখন কারাগারে আছেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

আদালত টপ নিউজ বাবুল আক্তার রিমান্ড নামঞ্জুর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

সম্পর্কিত খবর