‘নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াতসহ অতি বাম-অতি ডান সক্রিয় হয়ে ওঠে’
২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:১২
ঢাকা: সংসদ নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত এবং উচ্ছিষ্টভোগী অতি বাম-অতি ডান ষড়যন্ত্র করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অর্জন এরা চোখে দেখে না। জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে দেখেই এরা ষড়যন্ত্র করতে একাট্টা হয়।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের এম আব্দুল লতিফ।
লিখিত জবাবে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এক শ্রেণির মানুষ সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশ যে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না। যে কারণে ষড়যন্ত্র চলছে।
ক্ষমতায় থাকতে মাদক বিএনপির একটি অস্ত্র ছিল অভিযোগ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের কোমলমতি কিশোরদের ধ্বংস করতে এই বিএনপি এদেশে মাদক আমদানি করে। তারা চায় না এদেশে একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে উঠুক। পাকিস্তান ভেঙে জাতির পিতা বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ে তোলেন বলেই তাদের এদেশের মানুষের ওপর রাগ আর ক্ষোভ। এ জাতিকে ধ্বংস করার জন্য জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই কিছু ছাত্রের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। তাদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। বিএনপি সবসময়ই চেয়েছে দেশটা ধ্বংস হয়ে যাক।’
তিনি বলেন, ‘আর আওয়ামী লীগ সবসময় চেয়েছে আমাদের দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যাক, এদেশের মানুষ আত্মমর্যাদাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠুক; বিশ্বের বুকে বাঙালির পরিচয় হোক উন্নত-সমৃদ্ধ আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সরকার চেয়েছে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে, এদেশের সাধারণ সাথে নিয়ে। তাই সমাজের বিভিন্ন সমস্যাও আমরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে মোকাবিলা করতে চাই।’
একই প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেশের সব ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ, মাদক, জঙ্গিবাদ বিভিন্ন পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ দেশি-বিদেশি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেজন্য সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার সব পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী এই কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন।’
তিনি আরও জানান, কমিটির কার্যক্রমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আশাতীত ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। ফলে গত দুর্গাপূজার উৎসব সারাদেশব্যাপী অত্যন্ত শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পালিত হয়। কোথাও বিচ্যুতি লক্ষ্য করা যায়নি। এই কমিটির মাধ্যমে সমাজের সকল মানুষকে একত্রিত করে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার মূলোৎপাটন করা হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম