Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন ডেসটিনির হারুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৯

ফাইল ছবি

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে বিদেশে যেতে অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওমরাহ হজ পালন ও চিকিৎসায় তাকে চার মাসের জন্য বিদেশ যেতে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জামিনে থাকা হারুন-অর-রশিদের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

খুরশীদ আলম খান জানান, হারুন-অর-রশিদের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাকে চার মাসের জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন।

আদালতের জিম্মায় থাকা পাসপোর্ট নিয়ে তিনি এখন বিদেশ যেতে পারবেন। তবে চার মাসের মধ্যে ফিরে এসে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।

এর ২০২২ সালের ১২ মে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে রায়ে। আর ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং সাড়ে ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের’ কথা বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে এই অপরাধের সর্বনিম্ন সাজায় দণ্ডিত করে।

এ ছাড়া হারুনের অবরুদ্ধ সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাবে অবমুক্ত (রিলিজ) করার নির্দেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন।

পরে গত বছরের ৯ জুন তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি জরিমানা স্থগিত করেন আদালত। এরপর গত বছরের ৩০ আগস্ট এ মামলায় হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছিলেন।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর