‘নিষিদ্ধ রাশিয়ান জাহাজের অবস্থান জানে না বাংলাদেশ’
২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৫
ঢাকা: ‘উরসা মেজর’ নামের একটি জাহাজে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল রাশিয়া। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকায় জাহাজটিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু জাহাজটির বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বাংলাদেশ জানে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রাশিয়ান জাহাজ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। আমরা শুধু জানি, যেহেতু সেটি ছিল একটি নিষিদ্ধ জাহাজ, সেজন্য আমরা সেটিকে আমাদের বন্দরে ভিড়তে দিইনি। এরপর সেটি কোথায় গেল তা আমরা জানি না।’
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করি কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দু’টি দেশের মধ্যে সাধারণ ও আইনগত কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে না। এটি এককভাবে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা, জাতিসংঘের নয়।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশের যেকোনো উদ্যোগ উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া দরকার। এটি কোনো দেশের বিরুদ্ধে হওয়া ঠিক নয়। এই মানদণ্ডে ওই উদ্যোগকে বিচার করতে হবে এবং প্রশ্ন করতে হবে— আমাদের যে সাধারণ লক্ষ্য আছে, সেটি অর্জনে এটি সহায়ক, নাকি আমাদের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি করবে— এ বিষয়টি আমাদের চিন্তা করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, রোববার (২২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে তাজ্জব লেগেছে যে রাশিয়া জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞা আছে— এমন জাহাজের নাম পরিবর্তন করে পাঠিয়েছে। আমরা এটি আশা করিনি। আমরা আশা করি, রাশিয়া এখন নিষেধাজ্ঞা নেই— এমন একটি জাহাজে পণ্যগুলো পাঠাবে।’
এর আগে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা ‘উরসা মেজর’ নামের একটি জাহাজে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠায় রাশিয়া। যা গত ২৪ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরে আসার কথা ছিল। ওই জাহাজের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আছে— এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগাম সতর্ক করার কারণে বাংলাদেশ জাহাজটি দেশের সমুদ্র সীমানায় ঢুকতে দেয়নি। প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করেছিল জাহাজটি। কিন্তু পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি নয়াদিল্লির অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় জাহাজটি।
সেদিনই (১৬ জানুয়ারি) রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, উরসা মেজরের পরিবর্তে এখন অন্য জাহাজে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম বাংলাদেশে পাঠানো হবে। বর্তমানে জাহাজটি চীনের একটি বন্দরের উদ্দেশে অগ্রসর হচ্ছে।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম