Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘হাসপাতালে অব্যবস্থাপনার দায় উপজেলা কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনদের’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:৫৪

জাহিদ মালেক, ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোতে অব্যবস্থাপনার জন্য সেসব প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনদের দুষলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানপ্রধান ভালো হলে বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সেমিনার রুমে এক গবেষণা ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

‘বাংলাদেশের জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে চিকিৎসকদের চ্যালেঞ্জ’— শীর্ষক গবেষণাটি স্বাস্থ্য অধিদফতরের হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে সম্পন্ন করা হয়েছে। গবেষণাটি করেন বিএসএমএমইউ পাবলিক হেলথ ও ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. খালেকুজ্জামান ও তার সহযোগী দল।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন গবেষক দলের প্রধান এবং পাবলিক হেলথ ও ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জামান। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী, দুই তৃতীয়াংশ হাসপাতালের এক্স-রেসহ সব মেশিনপত্র নষ্ট। এগুলোর দায় সিভিল সার্জন এবং ইউএইচএফপিওদের নিতে হবে।’

হাসপাতালগুলোর নোংরা পরিবেশ ও অস্বাস্থ্যকর টয়লেটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে একজন পরিচালক রয়েছেন, টয়লেট যদি অপরিষ্কার থাকে, হাসপাতাল যদি অপরিচ্ছন্ন থাকে, হাসপাতালে যদি পানি না থাকে, তাহলে সেই পরিচালকের কাজ কী, তিনি কী করেন। হাসপাতালের যন্ত্রপাতি যদি ফাংশনাল না থাকে তাহলে তার কাজটা কি? বেশিরভাগ রোগী পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেন বাইরে করে?’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিভাগ নিয়ে আমরা গর্ব করি। আমাদের সবার সম্মিলিত ইচ্ছা থাকলে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও ভালো এবং পরিবর্তন করতে পারি। এই পরিবর্তন আমাদেরকেই করতে হবে। অন্য কেউ এসে পরিবর্তন করবে না। চিকিৎসকরা যেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে থাকেন সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন, আমরা পর্যায়ক্রমে সেটা করে দেওয়ার চেষ্টা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোগীরাও যেন হাসপাতালে এসে ভালো পরিবেশ ও চিকিৎসা পায় তারও ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে এসে কেউ যদি দেখেন ডাক্তার নাই, তাহলে তার অনুভূতিটা কেমন হবে? পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা এক্সরে করতে গিয়ে যদি দেখেন মেশিন খারাপ- এই বিষয়গুলো যেন না ঘটে সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল তৈরি করেছি মানুষের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। মানুষ চিকিৎসা পেলে আমাদের চাকরি থাকবে। জনগণের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে আগামীতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও ভালো হবে।’ তিনি বলেন, ‘সারাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম। অনেক হাসপাতালে রোগী বেশি হওয়ায় চিকিৎসকদের কাজের চাপ বেশি থাকে। যেখানে ২০ জন চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে যদি ১০ জন বা আটজন থাকে, তাহলে চাপতো বাড়বেই। যত চিকিৎসক থাকার কথা কথা, সেখানে আমাদের কিছু ঘাটতি রয়েছে, এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই।’

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া, বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী প্রমুখ।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

জাহিদ মালেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর