‘২০৩০ সালে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল হবে এভিয়েশনের বৃহত্তম বাজার’
২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:১৪
ঢাকা: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল বৃহত্তম বিমান পরিবহন বাজার হয়ে উঠবে বলে আশা করছি। এই সুযোগ গ্রহণে বাংলাদেশে এভিয়েশন শিল্পের প্রবৃদ্ধির জন্য সরকার বেশ কিছু নীতি প্রবর্তন এবং আইনগত সংস্কার করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে কো-আপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ফর অপারেশনাল সেফটি অ্যান্ড কন্টিনিউয়িং এয়ারওর্দিনেস প্রোগ্রাম: সাউথ এশিয়া (কসক্যাপ-এসএ)-এর ৩০তম স্টিয়ারিং কমিটির সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি এভিয়েশন শিল্পেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় দেশের এভিয়েশন সেক্টর আন্তর্জাতিক মানে বিকশিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের বিমান যোগাযোগের পরিধি বাড়ছে। সারাদেশে বিমান পরিকাঠামোর সময়োপযোগী সম্প্রসারণ, যাত্রী সেবা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত ও জন দক্ষতা উন্নয়ন এবং নিরাপদ ও সুষ্ঠু বিমান চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। আর এসব কার্যক্রমেরই লক্ষ্য হলো দেশকে একটি প্রধান এভিয়েশন হাব এবং আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্যে রূপান্তর করা।
দক্ষিণ এশিয়ার ৮ দেশের সিভিল এভিয়েশন প্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক তাও মা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী আকস্মিক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড সার্ভিস ইকুইপমেন্ট ডিভিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম দেখেন এবং যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শনকালে বেসামরিক বিয়োগ পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিউল আজিম এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসজে/এনইউ