Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫২

ফাইল ছবি

ঢাকা: আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাতদলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। ভোটাধিকার নিশ্চিত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জোটটি।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পূর্বে ঘোষিত কর্মসূচি বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে গণতন্ত্র মঞ্চ। এ সমাবেশে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, ওই দিন (৪ ফেব্রুয়ারি) গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিরোধী দলের যুগপৎ আন্দোলনে সরকারের কাঁপন শুরু হয়েছে। আগামী শীত পর্যন্ত এই সরকার টিকবে না।

সমাবেশে মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো পরিবর্তন ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাজপথে নেমেছি। রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। তবে কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য আমরা লড়াই করছি না।

তিনি সরকারের সমালোচনা করে আরও বলেন, দেশ চলছে না। রিজার্ভ নেই। ঋণের জন্য সরকার আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের কাছে ধর্না দিয়েছে। ঋণ পায়নি। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সরকারের কাছে যেসব প্রশ্ন করেছে তার জবাব দিতে পারেনি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে সেজন্য সরকার এখন বেসামাল হয়ে পড়েছে। কারণ সামনে রোজা পেয়াজঁসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। খুবই জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে সে টাকা সরকারের কাছে নেই।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমেরিকান একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। ওই মন্ত্রী কী বলে গেছেন তা আজ অন্ধকারে। সরকার জনসম্মুখে মন্ত্রীর আদেশ, নির্দেশ বা প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার আবার একটি প্রহসনের নির্বাচন করার জন্য চেষ্টা করছে। সরকারের এই চেষ্টা রুখে দাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার পেনশন বিল পাস করেছে। জনগণের টাকা নিয়ে জনগণকে ফেরত দেবে। অর্থাৎ, কৈ মাছের তেল দিয়ে কৈ মাছ ভাজবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ’৭২ এর সংবিধান হচ্ছে দেশে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে টিক সই করার। এই সংবিধানের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার একক ক্ষমতা বলে জমিদারী প্রথা চালু করেছেন। ১৯৭৩ সালের মতো আজ ২০২৩ সালে শেখ হাসিনা নতুন বাকশাল গঠন করার চেষ্টা করছেন। সরকারের ভাবটা এরকম যে দেশ স্বাধীনের জন্য আমরা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছি, আমরা লুটপাট করব। আমরা রাষ্ট্রের টাকা বিদেশে পাঠাব। সবই আমাদের ইচ্ছা।

তিনি বলেন, জনগণ প্রতিবাদ করলে জেলে যেতে হবে। গুম খুন অপহরণ হতে হবে। সংবাদপত্রে তথ্য তুলে ধরে রিপোর্ট করলে ডিজিটাল অ্যাক্টে মামলা করা হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দলের নেতা নুরুল হক নুরু বলেন, আওয়ামী লীগের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিতে হবে। এজন্য আমাদেরও লড়াই অব্যাহত থাকবে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/আইই

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর