‘ডলার সাশ্রয় সবসময় ভালো ফল বয়ে আনে না’
২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:১১
ঢাকা: ডলার ক্রাইসিস, ডলার ক্রাইসিস বলে আতঙ্ক না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, ডলার সাশ্রয় সবসময় ভালো ফল বয়ে আনে না। ঢালাওভাবে আতঙ্কিত হয়ে কিছু করাও যাবে না। এই সংকট পুরো পৃথিবীজুড়েই।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ডলার সাশ্রয়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় বিলাসবহুল পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে কাস্টম ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। ডিউটি বাড়ানো ছাড়া ডলার সাশ্রয়ে আমাদের দিক থেকে কিছু করার নেই। আমরা আমদানি বন্ধ করতে পারব না। ডিউটি বাড়িয়ে তাদের নিরুৎসাহিত করছি। তাছাড়া ডলার সাশ্রয়ে সবসময় ভালো ফল আসে না।’
তিনি বলেন, ‘উপকরণ ও মেশিনারিজ আমদানি বন্ধ করলে ডলার সাশ্রয় হবে। কিন্তু তাতে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, রফতানি কমে যাবে। তাই ডলার সাশ্রয় করতে গিয়ে ঢালাওভাবে আতঙ্কিত হয়ে কিছু করা যাবে না। আর আপনাদেরও (সাংবাদিক) বলব, ডলার ক্রাইসিস, ডলার ক্রাইসিস বলে আতঙ্ক ছড়াবেন না। পুরো পৃথিবীজুড়েই ডলার সংকট। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের যে মন্দাভাব তার রেশ বাংলাদেশের বাণিজ্যেও পড়েছে। তাতে রাজস্ব আহরণও কমেছে। ভোক্তার সুবিধার্থে আমদানি পর্যায়ে কিছু অব্যাহতি দিয়েছি। তাতেও কিছুটা আহরণ কম হয়েছে। তবে আশা করি বছরের শেষ সময় পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি যেতে পারব।’
কাস্টমস আইন প্রণয়নে এত দেরি হচ্ছে কেন? জানতে চাইলে রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘আয়কর আইন মন্ত্রিপরিষদে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে কাস্টমস আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রেও আমরা সব প্রক্রিয়া শেষ করেছিলাম। এক পর্যায়ে সংশোধনের জন্যও আমাদের কাছে আসে। সেগুলো সম্পন্ন করে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে দিয়েছিলাম। এখন এটা আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আমরা আইন মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসজে/পিটিএম