Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তৈরি পোশাক কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চায় বিজিএমইএ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:৫৪

ঢাকা: তৈরি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাসের সরবরাহ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালান ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ প্রতিন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ‘তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের মূল্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি ও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের সরবরাহ’ শিরোনামে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

উভয় চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান লিখেছেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক রফতানির মাধ্যমে দেশের মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ ভাগ অর্জিত হয়। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া টেরিটাওয়েল, বস্ত্রশিল্প ও অন্যান্য খাতসহ অর্জিত হয় প্রায় ৮৮ শতাংশ।’

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় করোনাকালীন সংকট মোকাবিলা করে বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বলানি সংকট চলছে। রফতানি আদেশ অনুযায়ী উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। অনিয়মিত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের কারণে পোশাক কারখানাগুলোতে উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে সরকার ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি গ্যাসের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর কিছুদিন পূর্বে বিদ্যুতের খুচরা মূল্যও বাড়ানো হয়।’

তিনি লিখেছেন, ‘এ অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে ইতিমধ্যেই কাঁচামালের দাম বেড়েছে ও একইসঙ্গে পোশাক উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংক ঋণের সুদের হারও বেড়ে গেছে এবং আরও বাড়বে। ফলে তৈরি পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।’

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি লিখেছেন, ‘এ অবস্থার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি না করে সিস্টেম লস, মিটার রিডিং, অবৈধ সংযোগ, লুস কানেকশন ইত্যাদি বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে বন্ধ করতে হবে, অর্থাৎ সিস্টেম লস শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে হবে। বৈশ্বিক সংকটি লাঘবে আগামী এক বছরের জন্য আমদানিকৃত জ্বালানি পণ্যে কাস্টমস শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি।’

বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে একসঙ্গে এত দাম না বাড়িয়ে ক্রমান্বয়ে সহনীয় পর্যায়ে বাড়ানো হলে এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে। এমতাবস্থায়, তৈরি পোশাক শিল্পে উৎপাদন কার্যক্রমের স্বার্থে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

গ্যাস বিজিএমইএ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর