‘স্থায়ী নিয়োগ পাবেন সরকারি কৌঁসুলিরা, বাড়বে বেতনও’
২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৫
ঢাকা: সরকারি কৌঁসুলিদের ৩০ শতাংশ স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, তাদের বেতনও বাড়ানো হবে। বড়, মাঝারি ও ছোট এই তিন ক্যাটাগরিতে জেলাগুলোকে ভাগ করে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের (পিপি ও জিপি) বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘সরকারি কৌঁসুলিদের স্থায়ী নিয়োগ ও বেতন বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ২৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালের আগে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার আগে জেলা প্রশাসকদের মতামত নিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটরদের নিয়োগ দেওয়া হতো। এখন রাজনৈতিকভাবে পিপি নিয়োগ দেওয়া হয়। স্বাধীনতার আগে ১৯৪৭ পরও রাজনৈতিকভাবে পিপি নিয়োগ দেওয়া হতো। স্বাধীনতার পরও এটা করা হতো।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখন জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ৩০ ভাগ স্থায়ী সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকি ৭০ ভাগ রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখন সরকারি কৌঁসুলিদের বেতন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে। জেলার আয়তন ভেদে এখন নতুন বেতন কাঠামো ঠিক করা হচ্ছে। এর মধ্যে বড় জেলাগুলোতে কৌঁসুলিদের বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা, মাঝারি জেলাগুলোতে ৪৫ হাজার টাকা এবং ছোট জেলাগুলোতে ৪০ হাজার টাকা। এই ব্যবস্থা আগামী নির্বাচনের পরে প্রবর্তনের চিন্তা থাকলেও এখন থেকেই এর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমরা স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠন করতে যাচ্ছি।’
জিডিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এ বিষয়ে ডিসিদের বেশি করণীয় নেই। বেশি কাজ করে থাকেন পুলিশ। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যাতে মামলাগুলো সেলে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একইসঙ্গে এ ধরনের মামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘এর বাইরেও একটি কমিটি আইনটি নিয়ে কাজ করছে। প্রয়োজন মনে করলে এটি সংশোধন করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার জট কমাতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য বিচারক বিচারপ্রার্থীকে অনুরোধ করবেন যে, যেসব বিষয় আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করা সম্ভব সেগুলো আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করার জন্য। আমরা এই পদ্ধতি প্রয়োগে সুফল পাচ্ছি।’
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম