১৩ বছরে দেশে ফিরেছে ৩৩ হাজার শ্রমিকের লাশ
১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:৫২
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীদের রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও অভিবাসন প্রক্রিয়ায় তাদের পেশাগত নিরাপত্তার বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পায়নি। ফলে ২০০৫ থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ১১২ জন শ্রমিকের লাশ দেশে ফিরেছে।
রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানায় বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি)।
ওশি’র ভাইস চেয়ারপারসন ড. এস এম মোর্শেদ বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এক কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ১৮১ জন বাংলাদেশির বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীদের রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও অভিবাসন প্রক্রিয়ায় তাদের পেশাগত নিরাপত্তার বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পায়নি। ফলে ২০০৫ থেকে এখন পযন্ত ৩৩ হাজার ১১২ জন শ্রমিকের লাশ দেশে ফিরেছে। রেমিটেন্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাশের সংখ্যা। এটি অভিবাসন কূটনীতির ব্যর্থতা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের অধিকার সুরক্ষা এবং সমুন্নত রাখার জন্য দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ আইনি সহায়তার সুযোগ তৈরি করতে হবে। বিএমইটি প্রদত্ত প্রশিক্ষণ এবং ব্রিফিংয়ে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সরকারি হাসপাতালে বিদেশগামী ও বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুব্যবস্থা করা উচিৎ। গন্তব্য দেশের সাথে যৌথ শ্রম পরিদর্শন এবং প্রতিবেদন তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে।
এস এম মোর্শেদ বলেন, বিদেশে যাওয়ার আগে শ্রমিকদের যথাযথ তথ্য প্রদান করে প্রয়োজনীয় সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের অধিকার সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের শ্রম উইংগুলোতে কার্যকর অকুপেশনাল সেইফটি অ্যান্ড হেলথ (ওএসএইচ) হেল্পলাইন চালু করতে হবে। গন্তব্য দেশ অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রস্তুত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রেরণকারী রাষ্ট্র ও গন্তব্য রাষ্ট্রের পেশাগত নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপ সৃষ্টিকারী পক্ষদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ বিষয়ক প্রচারাভিযান বৃদ্ধি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের এ আর চৌধুরী রিপন, কমিউনিকেশন অফিসার আব্দুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসআর/একে