‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট সিটিজেন’
২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪২
ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির জন্য প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য অর্থনৈতিসহ সকল খাতকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে হবে।’
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের উইন্ডি টাউন হলে আয়োজিত এক সেমিনারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে প্রযুক্তির মহাসড়কে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে সকল নাগরিক সুবিধা থাকবে। পানি সরবারাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, গৃহস্থালি ও শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকবে। নগরে যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে। সুস্থ স্বাভাবিক নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে তাদের জন্য যথাযথ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার শুধু স্বপ্ন দেখায় না, স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দান করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন না, বাস্তব। সরকারের সঠিক পদক্ষেপে স্মার্ট বাংলাদেশ বা স্মার্ট সিটিও বাস্তবে রূপ নেবে। এজন্য আমাদের সমন্বিতভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেওয়া হলেও আমাদের দেশের বাস্তবতায় স্মার্ট নগরী গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের শহরগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।’
বিশেষ অথিতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি বলেন, ‘নাগরিকরা ঘরে বসে সব সুবিধা পাবে, সেই সেবা নিশ্চিত করতে চাই। স্মার্ট হওয়া মানে প্রযুক্তির দিক দিয়ে স্মার্ট হতে হবে, তা না। যে যে কাজটা জানে তার কাছ থেকে সাহায্য নিতে হবে।’
‘ঢাকার মেয়ররা অনেক উইংয়ের সাহায্য পান। কিন্তু আমরা যারা ঢাকার বাইরের মেয়ররা তা পাই না। সিটি এরিয়ার ভেতরে অন্য অনেক প্রতিষ্ঠান কাজ করে, যার জন্য আমরা চাইলেও একটি সমন্বিত সেবা ব্যবস্থা তৈরি করতে পারছি না। অন্য কেউ নয়, সিটির মধ্যে মেয়র কাজ করবে। দেশে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত স্থানীয় সরকার। নারায়ণগঞ্জ প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে’- বলেন নাসিক মেয়র।
সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন। আর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. বি এম মইনূল হোসেন।
সঞ্চালনা করেন আইসিটি ও টেলিকমখাত বিশ্লেষক টি আই এম নুরুল কবির। এর আগে, সূচনা বক্তব্য রাখেন আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক, এমটবের সেক্রেটারি জেনারেল বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদসহ আরও অনেকে।
সারাবাংলা/আরএফ/এনএস
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম স্মার্ট বাংলাদেশ