Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুন্দরবনে গোলপাতা আহরণ শুরু, লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার মেট্রিক টন

জামাল হোসেন বাপ্পা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৪৯

বাগেরহাট: ৭ হাজার মেট্রিক টন গোলপাতা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সুন্দরবনে শুরু হয়েছে গোলপাতা আহরণ মৌসুম। চলতি মৌসুমে চাঁদপাই রেঞ্জের দু’টি এলাকা থেকে ওই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

গোলপাতা আহরণ মৌসুমের প্রথম দিন (রোববার, ২৯ জানুয়ারি) বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতিপত্র (বিএলসি) নিয়েছেন উপকূলের ৩০ জন বাওয়ালি। সুন্দরবনে অভ্যন্তরে চাঁদপাই রেঞ্জে দু’টি গোলপাতার কূপে আহরণ মৌসুম চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে দু’টি গোলপাতা আহরণ এলাকা (কূপ) রয়েছে। এই দু’টি গোলপাতা কূপের মধ্যে এ মৌসুমে শ্যালা কূপ থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন ও চাঁদপাই কূপ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন গোলপাতা আহরণে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রতি কুইন্টাল গোলপাতা আহরণে রাজস্ব বাড়িয়ে ৬৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বন বিভাগ। গত আহরণ মৌসুমে যা ছিল কুইন্টাল প্রতি মাত্র ২৫ টাকা।

গত আহরণ মৌসুমে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা ও চাঁদপাই কূপ থেকে সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১০০টি বিএলসি নিয়ে বাওয়ালিরা ১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন গোলপাতা আহরণ করে। গত মৌসুমে গোলপাতা থেকে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ রাজস্ব আয় হয় ৯ লাখ টাকা।

বন বিভাগ আশা করছে, চলতি মৌসুমে কুইন্টাল প্রতি ২৫ টাকার স্থলে রাজস্ব এবার ৬৮ টাকা নির্ধারণ করাসহ গত মৌসুমের চেয়ে বেশি গোলপাতা আহরিত হলে রাজস্ব আদায় ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসন জানান, সুন্দরবনের ওপর থেকে চাপ কমানোর জন্য গোলপাতা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এবছর দেড় হাজার মেট্রিক টন কম করা হয়েছে। গোলপাতা আহরণ নিবিঘ্নে যাতে বাওয়ালিরা গোলপাতা কাটতে পারে তার জন্য বন বিভাগ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। প্রতিটি কূপে নিয়মিত তদারকি করে বিএলসি নবায়ন করার অনুমতি দেওয়া হয়।

গোলপাতা আহরণে এবারও বাওয়ালিদের শর্ত দেওয়া হয়েছে। কূপে নৌকার মিল রেখে গোলপাতা কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গোলপাতা আহরণের জন্য নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় বনে অবস্থান করা যাবে না, গোলপাতা ঝাড়ের মাইজপাতা ও ঠেকপাতা কোনোভাবেই কাটা যাবে না।

এছাড়া গোলপাতা আহরণে গিয়ে কোন বাওয়ালী গোলপাতার ছাড়া অন্য কোন প্রজাতির গাছ কাটতে পারবে না। বন্যপ্রাণিসহ শিকারসহ বনের ক্ষতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলেও জানিয়েছেন বন কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/এমও

গোলপাতা আহরণ সুন্দরবন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর