সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ধর্মঘটে দেশের সব শুল্ক স্টেশনে সেবা বন্ধ
৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:২৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: লাইসেন্স বাতিল ও অর্থদণ্ড আরোপের অযৌক্তিক বিধি বাতিল, আইনানুগভাবে পণ্যমূল্য নির্ধারণসহ ৮ দফা দাবিতে দেশজুড়ে সব শুল্ক স্টেশনে দুই দিনের ধর্মঘট পালন করছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। পণ্য ছাড়ের জন্য কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল না হওয়ায় কাস্টমস হাউজে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। বন্দরের ভেতরে কনটেইনার ও পণ্য খালাস স্বাভাবিক থাকলেও বাইরে পরিবহন বন্ধ আছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমসসহ দেশের ৪২টি শুল্ক স্টেশনে একযোগে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ার যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মালিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দর, কমলাপুর আইসিডি, টেকনাফ স্থলবন্দর, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের ৪২টি শুল্ক স্টেশনে প্রায় ১০ হাজার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট পণ্য খালাসের শুল্কায়নে নিয়োজিত।
সোমবার সকাল থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা কার্যক্রম বন্ধ রেখে স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। তবে বন্দরের অভ্যন্তরীণ অপারেশনে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের অংশ বাদে অন্য কাজে এর প্রভাব পড়েনি বলে জানা গেছে।
আগামীকাল মঙ্গলবারও (৩১ জানুয়ারি) ঘোষিত কর্মসূচি পূর্ণদিবস চলবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু।
সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘লাইসেন্স বিধিমালা সংশোধনের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। পণ্যের দাম ইচ্ছেমতো নির্ধারণ না করে আইনানুগ পন্থা অনুসরণের কথা বারবার বলে আসছি। কিন্তু এসব বিষয়ে এনবিআর আমাদের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো আমদানিকারকের বকেয়া পাওনার দায়ভার আমাদের ওপর চাপানো হচ্ছে। এইচএস কোড ও সিপিসি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের সংশোধন, লাইসেন্স হস্তান্তর বিধিমালা সহজীকরণের দাবি জানালেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় আমরা ধর্মঘট করছি।’
বিদ্যমান সংকট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৭ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছে জানিয়ে মাহমুদ ইমাম বিলু বলেছেন, ‘এ বিষয়ে তারা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।’
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ কমিশনার মুহাম্মদ মাহফুজ আলম বলেন, ‘শুল্কায়ন বন্ধ থাকলেও কাস্টমসে অভ্যন্তরীণ দাফতরিক কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। এনবিআর আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছে। আশা করি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা দ্রুত কাজে যোগ দেবেন।’
সারাবাংলা/আরডি/এমও