সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ধর্মঘট স্থগিত, শুল্ক স্টেশনে ফের সেবা চালু
৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:২২ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:২৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশের সব শুল্ক স্টেশনে চলমান ধর্মঘট আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বৈঠক আহ্বানকে সম্মান জানিয়ে সাময়িকভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে দেশের সব শুল্ক ভবন ও স্টেশনে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে এ বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে এনবিআর ৭ ফেব্রুয়ারি যৌথ সভা আহ্বান করে ধর্মঘট প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে। এ জন্য আমরা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করেছি। ৭ তারিখ এনবিআরের সঙ্গে সভায় দাবিদাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্তের পর কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
লাইসেন্স বাতিল ও অর্থদণ্ড আরোপের অযৌক্তিক বিধি বাতিল, আইনানুগভাবে পণ্যমূল্য নির্ধারণসহ আট দফা দাবিতে দেশজুড়ে সকল শুল্ক স্টেশনে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুইদিনের ধর্মঘট পালন শুরু করেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দর, কমলাপুর আইসিডি, টেকনাফ স্থলবন্দর, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের ৪২টি শুল্ক স্টেশনে প্রায় ১০ হাজার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট পণ্য খালাসের শুল্কায়নে নিয়োজিত আছেন। সোমবার সকাল থেকে তারা কার্যক্রম বন্ধ রেখে এসব স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ করেন।
ধর্মঘটের কারণে পণ্য ছাড়ের জন্য কোনো প্রকার বিল অব এন্ট্রি দাখিল না হওয়ায় কাস্টমস হাউজে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে যায়। বন্দরের ভেতরে কনটেইনার ও পণ্য খালাস স্বাভাবিক থাকলেও বাইরে পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুর আড়াইটার পর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের বিকেল তিনটা থেকে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান পত্র মারফত ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। চেয়ারম্যানের ওপর আস্থা রেখে চলমান কর্মবিরতির কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারি আলোচনার ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/একে