Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তামাক পণ্যের ব্যবহার কমাতে দাম বাড়ানোর আহ্বান


৩ মে ২০১৮ ২০:৫৯

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: পাশের দেশগুলোতে তামাকপণ্যের দাম অনেক বেশি হওয়ায় তামাক সেবনের প্রবণতা এ দেশের মানুষের চেয়ে কম। তাই তামাকপণ্যে করারোপের ক্ষেত্রে রাজস্ব আয় নয়, জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। তামাক পণ্যের দাম বাড়ালে তা এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আর কর বাড়ালে সিগারেটের চোরাচালান বৃদ্ধির যে যুক্তি তামাক কোম্পানিগুলো দিয়ে আসছে, তা সম্পূর্ণ অমূলক।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘কেমন তামাক কর চাই’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে তামাকপণ্যের দাম সস্তা এবং তা দিন দিন তা আরও সস্তা হচ্ছে। এ ছাড়াও বিদ্যমান তামাক কর-কাঠামো অত্যন্ত জটিল হওয়ায় কর ফাঁকির সুযোগ তৈরি হচ্ছে এবং একইসঙ্গে তামাকপণ্যের ধরন ও ব্র্যান্ডভেদে ব্যাপক মূল্য পার্থক্য থাকায় ভোক্তা তুলনামূলক সস্তা ব্র্যান্ডের তামাকপণ্য কিনতে পারছেন, যা তামাক করের কার্যকারিতাকে কমিয়ে দিচ্ছে।

এসব বিষয় বিবেচনা করে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা দুইয়ে (নিম্ন ও উচ্চ) নামিয়ে আনা, ফিল্টার ও নন-ফিল্টার বিভাজন বাতিল করে প্রতি ২৫ শলাকা বিড়ির সর্বনিম্ন মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ, ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) এক্স-ফ্যাক্টরি প্রাইস প্রথা বিলুপ্ত এবং সব ধরনের তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর আহ্বান জানান বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন, এসব প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে প্রায় ৬ দশমিক ৪২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী (৩ দশমিক ০৭ মিলিয়ন সিগারেট ধূমপায়ী এবং ৩ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন বিড়ি ধূমপায়ী) ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবেন। সিগারেটের ব্যবহার ২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং বিড়ির ব্যবহার ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমবে। এ ছাড়া, দীর্ঘমেয়াদে ২ দশমিক ০১ মিলিয়ন বর্তমান ধূমপায়ীর (১ দশমিক ০৮ মিলিয়ন সিগারেট ধূমপায়ী এবং শূন্য দশমিক ৯৪ মিলিয়ন বিড়ি ধূমপায়ী) অকালমৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং ৭৫ থেকে ১০০ বিলিয়ন টাকা (জিডিপি’র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ) অতিরিক্ত রাজস্ব অর্জিত হবে।

বিজ্ঞাপন

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করতে হলে করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে এর ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্সের (আত্মা) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবাদ সম্মেলন। এতে অংশ নেয় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি), ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) এবং তামাকবিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ)।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার প্রধান প্রতিবেদক ও আত্মা’র কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আত্মা’র কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন, দ্য ইউনিয়নের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।

সারাবাংলা/জেএ/এমআইএস/টিআর

তামাকজাত পণ্য প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলন

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর