Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রার্থী নিখোঁজের পেছনে কোনো বাহিনী জড়িত নয়: ইসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৮

ঢাকা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করতে পারেন উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফের নিখোঁজের ঘটনায় সরকারি কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত নয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ভিডিও দেখেছি, তাতে মনে হয়—আত্মগোপনের পরিকল্পনা আগেই করা ছিল এবং সেটিই ঘটেছে। তাকে খুঁজে পেলে বিষয়টি জানা যাবে। আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে যে, তাকে খুঁজে বের করে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে হবে। আমাদের কাছে তথ্য আছে—সরকারি কোনো বাহিনী এই কাজটি করেনি।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ইসি কমিশনার বলেন, ‘কোনো প্রার্থী নিখোঁজ হলে থানায় বা রিটার্নিং অফিসারের কাছে কেন প্রার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়নি। থানায় একটা জিডি তো করতে হয়। নিখোঁজ প্রার্থীর পরিবার তা করেননি, কেন করেননি, তার স্ত্রীকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি, বলেছেন সময় পাননি।’

তিনি বলেন, ‘নিখোঁজ প্রার্থীর বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার আমাদের কাছে একটা জিনিস পাঠিয়েছে। সেখানে তারা প্রার্থীর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে সুস্পষ্ট কিছু পাওয়া যায়নি। এই বিষয়টি উদঘাটনে যাদের দায়িত্বরতদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা তাকে লোকেট করা মাত্রই মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসবে।’

আনিছুর রহমান বলেন, ‘একজন প্রার্থীর নিখোঁজের সংবাদ যেহেতু গণমাধ্যমে এসেছে, এরপর আমরা মাঠ প্রশাসনে কথা বলেছি। এরপর ডিসি, এসপি ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। কী ঘটেছে সে রিপোর্ট চেয়েছি। তারা বলেছেন, ওই ব্যক্তি কোথায় আছে, সেটি একবার চিহ্নিত করা গিয়েছিল। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল বলে পরে আর চিহ্নিত করা যায়নি। তাকে খুঁজে বের করতে সব সরকারি সংস্থাগুলো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একটি লোক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে লুকিয়ে থাকে, তাহলে তো তাকে খুঁজে বের করা কঠিন। আমাদের কাছে যে তথ্য-উপাত্ত আছে, তাতে আত্মগোপনে আছেন বলেই ধারণা জাগে। এছাড়া যে রেকর্ড আছে, তাতে তিনি তার স্ত্রীকে বলছেন যে কী কী আনতে হবে। সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিতে হবে এবং ১০ মিনিট পর উনি বের হলে চালু করতে হবে, তার মানে কী? মানে হচ্ছে যে তারা একটা পরিকল্পনা করেছে, এটিই আমরা অনুমান করছি। হয়ত তার অন্য কোনো উদ্দেশ্যে থাকতে পারে বা তার নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য এমনটি করতে পারে।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

ইসি নির্বাচন কমিশনার প্রার্থী নিখোঁজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর