‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাগুরার মতো দাদাও হবে না, নানাও হবে না’
৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫৬
ঢাকা: বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি ভীষণ ক্ষেপে গেছেন। গোস্বা হয়ে গেছে। তিনি বলছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপনির্বাচন নাকি মাগুরার উপনির্বাচনের দাদা। ইলেকশন কিন্তু এখনো হয়নি। ইলেকশন হবে আগামীকাল। মাগুরা মার্কা ফ্রি-স্টাইল নির্বাচন আগামীকাল হবে না। মাগুরার দাদাও হবে না, নানাও হবে না। ইলেকশনের মতোই ইলেকশনই হবে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে তেজগাঁও তিব্বত কলোনি বাজার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির আন্দোলনের খবরকে সবাই ভুয়া বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মানুষের শক্তি যখন কমে আসে তখন তার মুখের বিষ উগ্র হয়ে যায়। বিএনপি নেতাদের শক্তি ফুরিয়ে আসছে। দম ফুরিয়ে গেছে বলে এখন লাফালাফি বন্ধ করে নীরব পদযাত্রা-শোকযাত্রা শুরু করেছে তারা। বিএনপির এই যাত্রা দেখলে মনে হয়, কেউ মারা গেলে নীরব যে শোভাযাত্রা হয়, তাদের এ শোভাযাত্রা সেরকম। এ দিয়ে সরকার পতনের স্বপ্ন, ভুয়া।’ এ সময় ওবায়দুল কাদের ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান ধরলে নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে সুর মেলান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইলেকশন মাগুরার মতো ফ্রি-ইস্টাইলে হবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অধিকার আছে কাউকে সমর্থনের। আমাদের পার্টির সেখানে কোনো প্রার্থী নেই। সে কারণে আমরা একজনকে সমর্থন দিয়েছি। তার অর্থ এই নয়, আমরা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছি।’
তাই মির্জা ফখরুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বাচন নির্বাচনের মতোই হবে।’ আগামী বছরের জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে জানিয়ে দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘লন্ডনে বসে হুংকার দিচ্ছেন টেক ব্যাক বাংলাদেশ। কোথায় টেক ব্যাক? আলো থেকে অন্ধকারে আর বাংলাদেশ ফিরে যাবে না।’
তারেক রহমানের নেতৃত্ব দেশে মির্জা ফখরুল রিমোন্ট কন্ট্রোল আন্দোলন করছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের সব রঙিন খোয়াব অচিরেই কর্পূরের মতো উড়ে যাবে। ময়ূর সিংহাসন আর ফিরে আসবে না। মহারানি ভিক্টোরিয়ার মতো ক্ষমতার মঞ্চে বসবেন সেই দিন চলে গেছে।’
বিএনপি দিবাস্বপ্ন দেখতে থাকুক, আর আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করে যাবে বলেও মনে করেন তিনি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সবসময় রেডি থাকবেন। ডাক দিলে চলে আসবেন। লড়াই চলবে। অন্ধকারের শক্তিকে পরাজিত করা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান, সাদেক খান এমপি প্রমুখ।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম