যুক্তরাজ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে লাখো মানুষের ধর্মঘট
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৬
যুক্তরাজ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় ধর্মঘট চলছে। দেশটির শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, ট্রেন চালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারসহ প্রায় পাঁচ লাখ চাকরিজীবী এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (টিইউসি)-এর দাবি, ধর্মঘটে প্রায় তিন লাখ স্কুল শিক্ষক অংশ নিয়েছেন। ধর্মঘটে অংশ নেওয়া চাকরিজীবীদের দাবি, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মজুরি বা বেতন বাড়ছে না। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য এবং জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বেতন বাড়ানোর দাবি তাদের।
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের স্কুলের সামনে শিক্ষকরা সারিবদ্ধ হয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালনের সময় তাদের দাবি দাওয়া সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও স্লোগান দিচ্ছেন। এসময় অনেকে সাধারণ মানুষ তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। কেউ কেউ পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় হর্ন বাজিয়ে এবং স্লোগান দিয়ে শিক্ষকদের ধর্মঘটে সমর্থন জানান।
তবে অনেক সাধারণ মানুষ এই ধর্মঘটের ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্যও করছেন। শিক্ষকদের তরফ থেকে এমন কঠোর পদক্ষেপের উদ্দেশ ও পরিণতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
বুধবার যুক্তরাজ্যজুড়ে বহু স্কুলে পাঠদানে বিরত ছিলেন শিক্ষকরা। ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়ন জানিয়েছে, বুধবার প্রায় ২৩ হাজার স্কুলে ধর্মঘট হয়েছে। দেশের ৮৫ শতাংশ স্কুল ও কলেজ সম্পূর্ণ বা আংশিক বন্ধ রয়েছে।
ট্রেন চালকদের ধর্মঘটের কারণে বেশিরভাগ ট্রেনও চলাচল করেনি।
ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন জাদুঘরের কর্মচারী, লন্ডন শহরের বাস চালক, কোস্টগার্ডের কর্মী, সীমান্ত ও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন অফিসাররাও। পরবর্তী কর্মসূচিতে নার্স, অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরাও অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে ট্রেড ইউনিয়ন।
ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, সরকারি খাতের কর্মীদের গড় বেতন মাসে ২০৩ পাউন্ড। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নেওয়া হলে ২০১০ সালের পর এই মজুরি খুবই কম।
সংবাদ মাধ্যমে অনেক শিক্ষক বলছেন, আমরা এক দশক আগে যে বেতন পেতাম এখনও তাই পাচ্ছি। ২০২৩ সালে এসে এই বেতন দিয়ে জীবনধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সারাবাংলা/আইই