Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশ দখলমুক্ত হবে: শেখ তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৮

মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশের বাস্তব অবস্থা দেখেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: রাজধানীতে মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশ দখলমুক্ত করে সেখানে সৌন্দর্যবর্ধন ও ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিমতলী হতে ফুলবাড়িয়া অংশে পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র একথা বলেন।

শেখ তাপস বলেন, ‘মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অবস্থা খুব বেসামাল। বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় রয়েছে। খুবই নোংরা করে রাখা হয়েছে। এসব দখল মুক্ত করে ওড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। সেই লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছি। আটটি অংশে (উড়ালসেতুর নিচের অংশকে) বিভক্ত করেছি। ঢাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী এবং এলাকার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করেই আটটি অংশেই খুব দ্রুতই কাজ শুরু করব।’

জনগণের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়েই উড়ালসেতুর নিচের অংশে সৌন্দর্যবর্ধন ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ঢাকাবাসীর চাহিদা বিবেচনা করে এখানে কাজ করব। জনগণ এখানে সৌন্দর্যবর্ধন না যাতায়াত সুবিধা চায়, নাকি হাঁটার পথ বা কোনো ধরনের অবকাঠামো চায়- এসব বিষয় পর্যালোচনা করব। কারণ চাহিদা বিবেচনায় না নিয়ে কোনো কার্যক্রম নেওয়া হলে তা নগরবাসীর উপকারে আসবে না। আমরা পরিকল্পিতভাবে আগাচ্ছি। হয়তোবা একটু সময় নেবে। কিন্তু যখন এটা সম্পন্ন হলে সবাই উপকৃত হবে।’

কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, ‘কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছিল যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব গোডাউন স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু এখন জানুয়ারিও পার হয়ে গেলো। এখানো স্থানান্তরিত হয় নাই। এই ফেব্রুয়ারিতেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করি। শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে সেজন্য ঘর/গুদাম করা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর হওয়ার কথা। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এসব গোডাউন স্থানান্তরে চাপ দিচ্ছি। সেটি হলে পুরাতন ঢাকার বিপদজনক কেমিক্যাল গোডাউনের বিপদ থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পাবে।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি আজকেই সেখানে যান তাহলে দেখতে পাবেন যে, অত্র এলাকার সকল মানুষ সেটা উপভোগ করছে। ওই উদ্যান দখলে ছিল। সেখানে মাদকাসক্তরা ছিল, ভবঘুরেদের আনাগোনা ছিল। সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে যারা ঘুরতে আসেন তারা যেন সেখানকার নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন এবং দর্শনার্থীদের খাওয়া-দাওয়া নিশ্চিত করতে একটি অস্থায়ী খাবারের দোকান দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটি আদালত রয়েছে। সেখানে বিশাল জনসমাগম হয়। তাদের মাধ্যমেই (ইজারাদার) পার্কটি পরিষ্কার রাখছি। মাদকাসক্ত ও ভবঘুরেমুক্ত রাখছি। আমরা এখন সেখানে বেষ্টনী তৈরি করে দেব এবং দুটো ফটক রাখব। যাতে করে বাহাদুর শাহ পার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং বাহাদুর শাহ পার্কের ঐতিহ্য বিনষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে জনকল্যাণে সেটার ব্যবহার নিশ্চিত করছি।’

এর আগে, মেয়র সবুজবাগের মানিকদিয়া ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ও কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন দাস, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জিয়াউল হক, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আজিজুল হক এবং সংরক্ষিত আসনের নাসরিন আহমেদসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরএফ/এনএস

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হানিফ উড়ালসেতু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর