‘উপনির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় ফের গণতন্ত্রের বিজয়’
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৩৮
ঢাকা: ছয়টি সংসদীয় উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে ফের গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ইলেকশন বিএনপি ছাড়ে নাই। প্রকাশ্যে আসেনি। ঘোমটা পড়ে নেমেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে। ঘোমটা পড়া প্রার্থী সব আসনেই আছে। ঘোমটা পড়া প্রার্থী হচ্ছে বিএনপির প্রার্থী।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ মন্তব্য করেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাকি মাগুরার দাদা হবে? ফখরুল সাহেব দাদাও হয়নি, নানাও হয়নি। মাগুরাও হয়নি। নির্বাচন হয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে। মাত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি কেন্দ্রে একটু হাতাহাতি হয়েছে। এছাড়া সবকয়টি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কে জিতল, কে হারল? সেটা আমাদের মূল বিষয় না। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফের গণতন্ত্রের বিজয় হলো। বিএনপি অপপ্রচার করে। এই সরকারের আমলে সুষ্ঠ নির্বাচন হয় না। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।’
সরকার নাকি ভয় পেয়েছে- বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার ভয় পেয়েছে, না আপনারা ভয় পেয়েছেন? সরকার শান্তি সমাবেশ দিয়ে শুরু করেছে। এখনো শান্তি সমাবেশ করে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভয় পায় না, ভয় পাচ্ছে বিএনপি। উত্তাপ আর ছড়ায় না। ফখরুল সাহেব আপনাদের পৃথিবী ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। এই পৃথিবী আরও ছোট হয়ে যাবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রথমে দেখছি মিছিল দৈর্ঘ্যে বড়, প্রস্থে বড় ছিল। এখন প্রস্থে বড় দৈর্ঘ্য কমে গেছে। বিএনপির এই নীরব মিছিল দৈর্ঘ্যে কম, প্রস্থে বেশি। তার মানে কর্মী কমে যাচ্ছে। নেতায় নেতায় প্রস্থ বেড়ে যাচ্ছে।’ এ সময় খেলা হবে স্লোগান ধরে নেতাকর্মীদের আগামী দিনে রাজপথে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্থানীয় সংসদ কাজী মনিরুল ইসলাম মনুসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম