Saturday 26 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চবি চারুকলা বন্ধ, ক্লাস অনলাইনে

চবি করেসপন্ডেন্ট
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:২১ | আপডেট: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:০০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) চারুকলা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে ৯৩ দিনের মতো আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী রোববার থেকে অনশনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, চারুকলা ইনস্টিটিউট আগামী এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বন্ধ থাকবে ছাত্রাবাসও। সেজন্য রাত ১০টার মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়তেও বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। তবে আগামী এক মাস অনলাইনে ক্লাস চলবে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ইনস্টিটিউটের ক্লাসরুমসহ প্রয়োজনীয় কাজ সংস্কারের জন্য আগামী একমাস বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ১০মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়তেও বলা হয়েছে। এই একমাস অনলাইনে ক্লাস চলবে।’

এর আগে, ঝুঁকিমুক্ত ক্লাসরুম, ভবন ও ছাত্রাবাস নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের জন্য বাস, ডাইনিং ও ক্যান্টিন চালুসহ ২২ দফা দাবিতে ২০২২ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে আন্দোলনে নামেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ৩ নভেম্বর থেকে তারা চারুকলা ইনস্টিটিউট মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার এক দফার আন্দোলন শুরু করেন।

প্রায় আড়াই মাস ধরে টানা আন্দোলনে অচল হয়ে থাকা চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গত ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর আন্দোলনকারীদের নিয়ে ফটক খুলে চারুকলার ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন মন্ত্রী-উপমন্ত্রী। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীরা প্রথমে ক্লাসে ফিরতে অস্বীকৃতি জানালে ২২ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটে যান। তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা সাতদিনের জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে ক্লাসে ফেরেন।

সাত দিনের ক্লাস শেষে তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে ফটকে তালা লাগিয়ে ক্লাস ছেড়ে ফের আন্দোলনে নামেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

 

১৯৬৯ সালে শিল্পী রশিদ চৌধুরীর উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধীনে ‘সহায়ক’ বিষয় হিসেবে শিল্পকলা বিষয় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চারুকলা শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে রশিদ চৌধুরীকে বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত করার মধ্য দিয়ে স্বতন্ত্রভাবে এই বিভাগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। চারুকলা বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা প্রদানের লক্ষে চারুকলা বিভাগ হিসেবে এটি চালু করা হয়। শুরুতে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ড. আবদুল করিম ভবনে এই বিভাগের সব কার্যক্রম পরিচালিত হতো।

পরে ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ৪৬২তম সিন্ডিকেট সভায় ৮৬ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চারুকলা বিভাগ এবং চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজকে একীভূত করার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ২০১০ সালের ২ আগস্ট চারুকলা ইনস্টিটিউট ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর বাদশাহ মিয়া চৌধুরী সড়কে বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

সারাবাংলা/সিসি/পিটিএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর