উপনির্বাচনে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি: ফখরুল
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৮
ঢাকা: বুধবার অনুষ্ঠিত ছয়টি উপনির্বাচনে পাঁচ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় অনুষ্ঠিত যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গতকাল তারা যে তথাকথিত নির্বাচন করল (ছয়টি উপনির্বাচন), এই নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার তাদের হিসাব অনুযায়ী ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আমাদের হিসাব মতে এটা ৫ শতাংশের বেশি না। আজ পত্র-পত্রিকায় ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন একেবারে ২০১৪ সালের কুত্তা মার্কা নির্বাচনের মতো; ভোট কেন্দ্রে কুকুর শুয়ে আছে। আওয়ামী লীগ এই পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে। গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাস করে বিএনপির আন্দোলনকে দমন করার যে প্রচেষ্টা, সেটা তারা অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি অন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। এসবের প্রতিবাদে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি আমরা সমাবেশ করব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে গণতন্ত্রের যে কাঠামো সেটা। তারা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
‘২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবেকে চিঠি দিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’- জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দেওয়া এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা তো বহু লোককে চিঠি দিয়েছি, বহু দেশকে চিঠি দিয়েছি। অবশ্যই দিয়েছি। এটা তো কখনো অস্বীকার করিনি।’
‘দেশের চলমান যে শাসন ব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে, দুর্নীতি-লুটপাট করেছে, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুম করছে, খুন করছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে- এগুলা আমরা সারা পৃথীবিকে জানিয়েছি’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর শরাফত আলী সপু, রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হক প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম