‘সমৃদ্ধি কর্মসূচির বাজেট সাপোর্ট বন্ধ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়’
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৯
ঢাকা: পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেছেন, সমৃদ্ধি কর্মসূচির বাজেট সহাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে মানব উন্নয়নের এ কর্মসূচিটি চলমান রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ এর সমৃদ্ধি কর্মসূচির ওপর প্রকাশিত ‘সাসটেইনবল ডেভলপমেন্ট হিউম্যান ডিগনিটি অ্যান্ড চয়েস: লিসন ফর্ম দ্যা ইরিচ প্রোগ্রাম’ শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘গত ১০ বছরে ভিক্ষুকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য পিকেএসএফ যে কাজটা করছে এটি প্রশংসনীয়। আমি আশা করব তাদের এ কর্মসূচি আরও বৃদ্ধি পাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের যখন মর্যাদা বাড়ে। তখন অন্যরা কিভাবে দেখছে সেটিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
আইএনএম এর নির্বাহী পরিচালক ড. মেস্তফা কে মুজেরী বলেন, ‘মানুষকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন। এটি উন্নয়নের চাবিকাঠি। পিকেএসএফ এর কার্যক্রম মানুষকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে। এটি মানবিক মর্যাদা বাড়াতে সহায্যে করছে। সারাদেশে ছড়িয়ে দিলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন হবে।’
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, ‘অতি দরিদ্রদের সব সেবা দেওয়া হবে। মানুষের কথা শুনে কর্মসূচি নেওয়া হয়। আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচি হচ্ছে মানবকেন্দ্রিক। অতি দরিদ্র থেকে তাকে সুযোগ দিয়ে উদ্যোক্তা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া আমাদের কার্যক্রম। সবাই এক সঙ্গে কাজ করলে। সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার হবে। একসময় কিছু অর্থ বাজার থেকে পাওয়া যেত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের যে বাজেট সাপোর্ট পেতাম সেটা গত তিন বছর ধরে বন্ধ হয়ে গেছে। এর জন্য এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সামনে আবার সাপোর্ট পেলে চালু হতে পারে। ২০৪১ সালে সরকার স্মাট বাংলাদেশ গড়তে চায়। সবাইকে স্মাট হতে হবে। কাউকে পিছিয়ে ফেলে নয়।’
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার বলেন, ‘সমৃদ্ধ কার্যক্রম ৬১ জেলায় ১৯৭টি ইউনিয়নে চলতেছে। যার সুবিধা পেয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ পরিবার। দারিদ্র বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এতে দারিদ্র কমে আসছে। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের সহায়ক হিসেবে আমরা কাজ করছি।’
সারাবাংলা/জেজে/একে