Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘চর্চার সংকটে হারিয়ে যাচ্ছে লোকসাহিত্য’

সারাবাংলা ডেস্ক
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চর্চার সংকটের কারণে লোকসাহিত্য হারিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন।

আবৃত্তি সংগঠন ‘উচ্চারক আবৃত্তিকুঞ্জ’র দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত লোকায়ত আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নগরীর এম এম আলী সড়কে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অনুপম সেন বলেন, ‘বাঙালির ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির একটি শক্ত ভিত আছে, সেটি অনেকেরই অজানা। বাংলা সাহিত্য ও কবিতার ভিত্তিমূল অনেক পুরনো। বাঙালির হাজারো বছরের ইতিহাসে এ মাটি থেকে জন্ম নিয়েছে অনেক শক্তিশালী কবি-সাহিত্যিক, লোককবি ও গীতিকবি। এসব লোক কবিতা ও গান বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসন দিয়েছে। কিন্তু তাদের অনেকের কবিতা ও সাহিত্যকর্ম আজ আমরা ভুলতে বসেছি। চর্চার সংকটের কারণে আজ আমরা আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সেভাবে লালন করছি না। আমাদের লোকসাহিত্যের বিপুলা সম্ভার হারিয়ে যেতে বসেছে।’

লোক উৎসবের আয়োজন করে উচ্চারক জাতীয় ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে বলে মন্তব্য করেন অনুপম সেন।

তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দেশের অন্যতম প্রধান আবৃত্তি ও বাচিক চর্চার সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্চের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দুই দিনের লোকায়ত আবৃত্তি উৎসবের প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘ভাষা ও সংস্কৃতি রুগ্ন হয়ে পড়লে রাজনীতিও বিকল হয়ে পড়ে। রাজনীতি ও সংস্কৃতি যদি পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে না চলে, তাহলে দেশ-জাতির অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়ে। বর্তমান সরকার বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা ও পরিচর্যায় কাজ করছে। আমাদের পুরনো কবিতা ও সাহিত্য-সংস্কৃতির দিকেও আরও যত্নবান হতে হবে। অতীতকে গুরুত্ব না দিয়ে কেবল ভবিষ্যতের দিকে ছুটলে হবে না।’

বিজ্ঞাপন

উচ্চারকের সভাপতি ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কবি রেহেনা পারভীন এবং বাউলতাত্ত্বিক স্বপন মজুমদার।

উচ্চারকের সহ সভাপতি এ এস এম এরফান ও মৌসুমী চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাউল গানে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন শিল্পী ড. হানিফ বাউল। সিলেটের লোক কবিতা ও গান পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী সুকান্ত গুপ্ত, স্রোতস্বিনী স্নেহা, পল্লবী দাশ ও অর্চিতা সাহা। চর্যাপদের গান পরিবেশন করেন উচ্চারক আবৃত্তিকুঞ্জের শিল্পী মোস্তফা কামাল, ফারুক তাহের, মৌসুমী চক্রবর্তী, এ এস এম এরফান, শামীমা ইযাছমিন, শাহ হোসাইন, দিপা দাস, পুনম দত্ত, সানজিদা রহমান ও হামিদ উদ্দিন।

দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন বরিশালের আগামী সাহিত্য সংগঠনের পাপিয়া জেসমিন, রতন দাস বাপী, নেজারুল ইসলাম বাবু, শিউলি সাহা, বাদল বিশ্বস, প্রকাশ রায় ও রিনা পারভীন। ময়মনসিংহের লোক কবিতা আবৃত্তি করেন আফতাব আহমেদ মাহবুব, মো. আসাদুজ্জামান, ইসহাক আলী ও রোকেয়া নাসরিন।

এছাড়া মিলি চৌধুরী, মাসুম আজিজুল বাসার, ঝর্ণা আলমগীর, মিসবাহ রাবিন, মুনা চৌধুরী, মশরুর হোসেন, শাহরিয়ার তানজিম, আল ইমরান, জেবুন নাহার শারমিন, বর্ষা চৌধুরী, শ্রাবণী দাশ, উমেচিং মারমা, প্রতিভা ত্রিপুরা, মাহফুজা হক একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

উদ্বোধনী দিনে উচ্চারক সংগঠনটির শুভানুধ্যায়ীদের সম্মাননা দেওয়া হয়। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে শনিবার বিকেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের সুমন্ত্র সেনগুপ্ত ও অলোক বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে থাকবেন।

সারাবাংলা/আরডি/আইই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর