Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘চাইলাম সেতু, পেলাম ফেরি’

রমেন দাশ গুপ্ত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:১৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সেতুর দাবি তিন দশকেরও বেশি সময়ের। আশ্বাসে মাঝে মাঝে আশার আলো জ্বলে, আবার নিভেও যায়। অতীষ্ঠ হয়ে মানুষ মাঝে মাঝে রাজপথে নেমে দাবি জানায়। মানুষের আশা আর আশ্বাসের মাঝে সেতুর বদলে চালু হচ্ছে দু’টি ফেরি। এতে মানুষের মধ্যে হতাশা আরও বেড়েছে। ‘চাইলাম সেতু, পেলাম ফেরি’- হতাশাগ্রস্ত মানুষের এমন উক্তি নদীর দুই তীরের পাশাপাশি ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর ওপর শত বছরের পুরনো কালুরঘাট সেতুর ওপর চাপ কমাতে ফেরি চালু করতে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ফেরি চলাচলের জন্য এখন প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। নতুন সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত কালুরঘাটে ফেরিগুলো চলাচল করবে, এমন সিদ্ধান্ত আছে সংশ্লিষ্টদের।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর ওপর প্রায় ১০০ বছরের পুরনো বিদ্যমান কালুরঘাট রেলসেতু দিয়ে ট্রেনের পাশাপাশি যানবাহনও চলে। বোয়ালখালী-পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের একাংশের নগরের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সেতু। একমুখী সেতুর একপাশে গাড়ি উঠলে আরেকপাশ বন্ধ থাকে। ফলে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি চলছে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। এছাড়া জরাজীর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের ঝুঁকি তো আছেই। যেকোনো সময় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে, বিশেষজ্ঞদের এমন মতামতের পর গত এক দশক ধরে সেতুর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন স্থানীয়রা।

এ অবস্থায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত সরকারের মেগাপ্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুটি সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন নিয়ে যাবার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া কালুরঘাট সেতুর দিয়ে কিভাবে কক্সবাজারে যাবে ট্রেন? এই প্রেক্ষাপটে সেতুটি সংস্কার করে ট্রেন চালানোর আপাতত উপযোগী করার জন্য সমীক্ষা পরিচালনা করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) দায়িত্ব দিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) ও কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন মো. গোলাম মোস্তফা সারাবাংলাকে বলেন, ‘বুয়েটের টিম মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে তাদের সমীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর লোকাল টেন্ডার আহ্বান করা হবে। ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা কিংবা তার চেয়ে কিছুটা কম-বেশি খরচ হতে পারে। তবে এই বছরের মধ্যেই সংস্কার কাজ শেষ হয়ে যাবে।’

এদিকে, সংস্কার কাজ শুরুর আগেই কালুরঘাট সেতুর ওপর চাপ কমাতে কর্ণফুলী নদীতে যানবাহন পারাপারের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই দু’টি ফেরি চালুর কাজ এগিয়ে নিচ্ছে সওজ। জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘সেতুর দক্ষিণ পাশে দু’টি ফেরি রাখা হয়েছে। আরও একটি ফেরি রিজার্ভ থাকবে। দুইপাশে দু’টি অস্থায়ী জেটি স্থাপনের কাজ চলছে। অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। এখন বেইলি সড়কের কাজ চলছে। আশা করছি, ফেব্রুয়ারি মধ্যেই কালুরঘাটে ফেরি চালু হবে।’

সওজ সূত্র জানায়, কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ফেরিগুলো চলাচল করবে। ফেরিতে প্রতি ট্রিপে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ২১টি যানবাহন পার হবে। তবে সংস্কার কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত ছোট গাড়ি সেতুর ওপর দিয়ে চলবে। সংস্কার কাজ শুরু হলে সব গাড়িই বহন করতে হবে ফেরিকে।

কালুরঘাটে ফেরি চালু নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কথা হয় সেতু এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে। দুর্ভোগের সঙ্গে যাদের নিত্য বসবাস, তারা বলছেন, ফেরি চালুতে ভোগান্তি আরও বাড়বে।

প্রতিদিন কালুরঘাট সেতু পার হয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে আসেন বোয়ালখালী উপজেলার শেখ চৌধুরী পাড়া এলাকার বাসিন্দা শেখ শহীদুল আলম। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন যখন হচ্ছে ভেবেছিলাম এবার সেতু হবে। কিন্তু সেতুর কোনো খবর নেই, ফেরি চালু হচ্ছে। সেতু কখন হবে, আদৌ হবে কি না সেটাও আমরা জানি না। শুনেছি বড় বগির ট্রেন যাবে কক্সবাজারে। সেজন্য নাকি সংস্কার করে রেলিংগুলো আরও প্রশস্ত করা হবে। সত্য-মিথ্যা জানি না, তবে আমাদের জন্য কোনো সুসংবাদ নেই, এটুকু বলতে পারি।’

কালুরঘাট এলাকার ফ্ল্যাক্সিলোড-বিকাশ এজেন্ট মো. আজিজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু পার হতে গিয়ে বিশেষ করে রাতে যখন গাড়ির জ্যামে আটকে থাকি, অনেক সময় কান্না চলে আসে। এই সেতুর ওপর গাড়ি আটকে অনেক রোগী মারাও গেছে। অবস্থা এমন হয়েছে, সেতুর দক্ষিণ পাড়ের বোয়ালখালীসহ আশপাশের এলাকার মানুষের সঙ্গে এখন কেউ আত্মীয়তাও করতে সংকোচ করে। আমরা একটা সেতু চাই। সরকার এত উন্নয়ন করছে, একটা সেতু বানাতে এত কীসের সমস্যা বুঝতে পারছি না।’

বোয়ালখালীর চরখিজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা আরেফিন রিয়াদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু এখন আমাদের স্থায়ী দুর্ভোগের অপর নাম। আমরা যমুনা সেতু দেখলাম, পদ্মা সেতু দেখলাম, সারাদেশে আরও কতশত সেতু হয়েছে। কিন্তু কালুরঘাট সেতু দেখব দেখব করে আমাদের দাদার আমল গেল, বাবার আমল গেল, আমাদের আমলও চলে যাচ্ছে। সেতু আর হচ্ছে না।’

বোয়ালখালীর শাকপুরার বাসিন্দা বাবলা চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘বোয়ালখালী অনেকটা শহরের অংশ বলা চলে। কিন্তু একটা সেতুর জন্য বোয়ালখালী একটা বিচ্ছিন্ন জনপদ হয়ে আছে। সেতু হলে চট্টগ্রাম শহর থেকে লাখো মানুষ গ্রামে ফিরে যেত। শিল্পায়ন হতো, বোয়ালখালী উপশহরে পরিণত হতো। আমাদের রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা কখন বুঝবেন, আমরা জানি না।’

পঞ্চাশোর্ধ মাধুরী দে কাজ করেন ব্যাংকের অফিস সহকারী হিসেবে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার জন্মের পর থেকে শুনছি কালুরঘাট সেতু হচ্ছে। দেশের এত উন্নয়ন হলেও এই সেতুটি হচ্ছে না। আমার ইচ্ছা, মরার আগে যেন নতুন কালুরঘাট ব্রিজ দেখে যেতে পারি।’

সূত্র মতে, কালুরঘাট সেতু দিয়ে এখন প্রায় ১২ মেট্রিক টন এক্সেল লোডের অর্থাৎ ছোট লোকোমোটিভ বা হালকা ওজনের কোচ চলাচল করে। কিন্তু কক্সবাজারে যেসব ট্রেন নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেগুলোর ইঞ্জিন ১৫ মেট্রিকটনের এক্সেল লোডেও বেশি।

গোলাম মোস্তফা সারাবাংলাকে বলেন, ‘বুয়েটের কাছে ২৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানোর উপযোগী করে সংস্কার পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে। সেভাবেই তারা কাজ করছে।’

২০২৫ সালে শুরু নতুন সেতুর কাজ?

১৯৯১ সাল থেকে প্রত্যেক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের বিষয়টি রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে প্রার্থীদের প্রচারণা ও প্রতিশ্রুতিতে গুরুত্ব পেয়ে আসছে। ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কালুরঘাটে রেলওয়ে সেতুর পাশে রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের জন্য দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সে সময় পাঁচ বছরে তারা এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

২০০১ সালে ক্ষমতায় আসে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। প্রতিশ্রুতি ছিল, কালুরঘাটে সেতু নির্মাণ করা হবে। সেতুর দুই পাড় নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন বোয়ালখালী-চান্দগাঁও থেকে নির্বাচনে জিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েছিলেন বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খান। এলাকার মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকার প্রবল আপত্তি উপেক্ষা করে কালুরঘাটের বদলে আরও দক্ষিণে গিয়ে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু যা ‘শাহ আমানত সেতু’ নামেও পরিচিত, সেটি নির্মাণ করে।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেতুর দাবি আরও জোরালো হয়। ২০১৪ সালে আন্দোলন শুরু করে ‘বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ’। দফায় দফায় প্রতিশ্রুতি, বিভিন্ন আশ্বাসের পরও সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া ঝুলে থাকে। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সাবেক সাংসদ মঈনউদ্দিন খান বাদল সংসদে জোরালোভাবে দাবি তোলেন। এমনকি সেতু নির্মাণ না করলে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি মারা যান।

২০২০ সালে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, রেল মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক দৌঁড়ঝাপের পরও এক বছরের মধ্যে কাজ শুরু হয়নি।

এ অবস্থায় গত আগস্টে কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান সেতুর একটি নকশা তৈরি করে, যাতে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন এই নকশা চূড়ান্ত হলেও ২০২৫ সালের আগে নির্মাণকাজ শুরুর সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত ফোকাল পারসন মো. গোলাম মোস্তফা।

তিনি সারাবাংলাকে জানান, সম্ভাব্য দাতা সংস্থা কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব এক্সিম ব্যাংকের নিয়োগ করা প্রতিষ্ঠান ইওসিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন বা দোহা নতুন নকশায় সেতু নির্মাণের প্রাথমিক সমীক্ষা প্রতিবেদন গত ২৯ নভেম্বর জমা দেয়। সম্প্রতি তারা ওই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে বলে জানিয়েছে। ইতোমধ্যে তারা সেটি কোরিয়ান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) কাছে জমাও দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেই প্রতিবেদন পাবে বলে আশা করছে।

‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাবার পর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তৈরি করতে আমাদের জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত সময় লাগবে। এরপর ইডিসিএফ’র সঙ্গে ঋণচুক্তি হবে। ডিটেইল ডিজাইনের জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হবে। এরপর সেটি একনেকে উঠবে। সেখানে পাস হলে টেন্ডারসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে ২০২৫ সালের শুরুতে আমরা কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। কাজ শেষ হতে চার থেকে পাঁচ বছর লাগতে পারে।’

নতুন নকশায় সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে সিঙ্গেল ডেকে অর্থাৎ চার লেনের সেতুর একপাশে থাকবে ট্রেন আসা-যাওয়ার দু’টি পথ এবং অপর দু’টি পথ থাকবে গাড়ি আসা-যাওয়ার জন্য, যাতে সাত হাজার কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে ব্যয় বাড়বে জানিয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ডলারের রেট বেড়েছে। সম্ভাব্য ব্যয় আমরা যেটা নির্ধারণ করেছিলাম সেটা কিছু বাড়বে। কিন্তু বিশ্বমন্দার কারণে দাতা প্রতিষ্ঠান ফান্ড দিতে পারবে না, কিংবা আর্থিক কোনো সংকট হবে এমন কথা আমরা শুনি নাই। আশা করছি ফান্ড পেতে সমস্যা হবে না।’

সেতুর জন্য এক দশক ধরে আন্দোলন করে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মো. আব্দুল মোমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম সেতু, সরকার আমাদের দিয়েছে ফেরি। কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন বানিয়ে ফেলল অথচ ট্রেন যাবে যে সেতুর ওপর দিয়ে সেটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করল না। এটা কি ইচ্ছাকৃত নাকি সঠিক পরিকল্পনার অভাব আমরা জানি না। ফেরি হোক আর সেতু সংস্কার হোক, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ হতাশ-এটুকু বলতে পারি।’

ছবি: শ্যামল নন্দী, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

কালুরঘাট সেতু চট্টগ্রাম ফেরি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর