Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দশক পূর্তিতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি গণজাগরণ মঞ্চ’র

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:২৩

ঢাকা: শাহবাগ আন্দোলনের এক দশক পূর্তিতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকরা। কবিতা, গান, আলোয় এক দশক পূর্তি উদযাপন করেছেন তারা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের এক দশক পূর্তি অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল থেকে শুরু হওয়া প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়।

এর আগে, বিকেলে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গণজাগরণ মঞ্চের এক দশক পূর্তি অনুষ্ঠান। কর্মসূচির শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ এবং বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক হামলায় শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রথম পর্বে গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন শিল্পীরা। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আলোর মিছিল বের করেন মঞ্চের কর্মীরা।

এ সময় ‘যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত কর’ ও ‘বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে হবে’, ‘তুমি কে আমি কে আদিবাসী-বাঙালি’ প্রভৃতি প্ল্যা-কার্ড নিয়ে শাহবাগে জড়ো হন গণজাগরণ মঞ্চ কর্মীরা।

অনুষ্ঠিত কর্মসূচি থেকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার আহ্বান জানান মঞ্চের সংগঠকরা।

দশকপূর্তি অনুষ্ঠানে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের (বোয়ান) সভাপতি কানিজ আকলিমা সুলতানা বলেন, ‘আজ থেকে ১০ বছর আগে যুদ্ধোপরাধীদের বিচারের দাবিতে আমরা জড়ো হয়েছিলাম। যুদ্ধোপরাধীদের বিচার হয়েছে। দেশবাসী সম্মতি দিয়েছিল ওই আন্দোলনে। কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শক্তি থেমে থাকেনি, তারা কোনো না কোনোভাবে আমাদের অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ করছে।’

একশ বছর পরও গণজাগরণ মঞ্চকে মানুষ মনে রাখবে জানিয়ে মঞ্চের কর্মী কামাল পাশা বলেন, ‘আজ থেকে ১০ বছর আগে গণজাগরণ মঞ্চ জন্ম নিয়েছিল। মানুষ আরও একশ বছর পরও এটাকে মনে রাখবে।’ তিনি বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় যুদ্ধটা আমরা করেছি গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে।

বিজ্ঞাপন

গণজাগরণ মঞ্চের আরেক কর্মী জীবনানন্দ জয়ন্ত বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চ যে দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলে তার সবগুলো এখনও পূরণ হয়নি। এখনও যুদ্ধ অপরাধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি। এখনও সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই গণজাগরণ মঞ্চ টিকে ছিল, টিকে আছে, টিকে থাকবে। এর আবেদন কখনও ফুরাবে না।’

চলচ্চিত্রকার ও মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘শাহবাগে আমরা রাত জেগে প্রতিবাদী স্লোগান দিয়েছি। গান করেছি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার পতন চেয়েছি। আমরা মনে হয়, সেটি আমাদের স্বাধীনতা উত্তরকালে একটি সোনালী সময়।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও বোয়ানের সাবেক সভাপতি অনিমেষ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, আকরামুল হক, রবিন আহসান, মারুফ রসূল, লাকী আক্তার, সনাতন উল্লাস, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল প্রমুখ।

সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম

১ দশক গণজাগরণ মঞ্চ পূর্তি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর