থানা পুনর্বিন্যাস, এরিয়া মেনে করতে হবে পাসপোর্ট আবেদন
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩৫
ঢাকা: ঢাকায় বসবাসকারী পাসপোর্টপ্রত্যাশীদের জন্য নতুন এরিয়া ঠিক করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদফতর। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এলাকার অফিসগুলোতে পাসপোর্ট আবেদন করতে হবে। যে এলাকায় যে এরিয়া অফিস থাকবে, সেই এলাকার মানুষকে ওই অফিসেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) পাসপোর্ট অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) সেলিনা বানু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “গত ৩০ জানুয়ারি সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে পাওয়া এক নির্দেশনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকায় নতুন করে আরও দু’টি পাসপোর্ট অফিসের শাখা খোলা হচ্ছে। এরমধ্যে পাসপোর্ট অফিস ঢাকা পূর্ব ও পাসপোর্ট অফিস ঢাকা পশ্চিম করা হয়েছে। ঢাকা পূর্বের নামকরণ করা হয়েছে বনশ্রী আর ঢাকা পশ্চিমের নামকরণ করা হয়েছে মোহাম্মদপুর।”
সেলিনা বানু আরও বলেন, ‘পাসপোর্টের সেবার মান বৃদ্ধি এবং পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজিকরণের জন্য ঢাকায় সাতটি পাসপোর্ট অফিসের আওতায় থানাগুলোকে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে সাতটি অফিসের আওতাধীন থানাগুলোকে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের জন্য সুবিন্যাস্ত করা হয়েছে।
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস আগারগাঁওয়ের আওতায় থানাগুলো হলো- শেরেবাংলা নগর, মিরপুর, কাফরুল, রুপনগর, গুলশান, বনানী, শাহবাগ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কেরানীগঞ্জের আওতায় থানাগুলো হলো- শ্যামপুর, কদমতলী, কোতয়ালী, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ মডেল, কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণ, লালবাগ, চকবাজার, কামরাঙ্গীরচর, বংশাল ও ওয়ারী।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস উত্তরার আওতায় থানাগুলো হলো- উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, উত্তর খান, দক্ষিণ খান, তুরাগ, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, আশুলিয়া, পল্লবী ও ভাষানটেক।
পাসপোর্ট অফিস ঢাকা পূর্বের (বনশ্রী) আওতাধীন থানাগুলো হলো- ডেমরা, যাত্রাবাড়ি, মুগদা, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, রামপুরা, রমনা, মতিঝিল, পল্টন, বাড্ডা, ভাটারা, তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও হাতিরঝিল।
পাসপোর্ট অফিস ঢাকা পশ্চিমের (মোহাম্মদপুর) আওতাধীন থানাগুলো হলো- সাভার, ধামরাই, মোহাম্মদপুর, আদাবর, দারুস সালাম, শাহ আলী, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট।
পাসপোর্ট অফিস ঢাকা সেনানিবাস কার্যালয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও ক্যান্টনমেন্ট থানার অধীনে বসবাসরত নাগরিকরা পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন। আর পাসপোর্ট অফিস সচিবালয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের পোষ্যদের আবেদনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সেলিনা বানু বলেন, ‘এখন থেকে ঢাকায় বসবাসকারী নাগরিকরা আর ইচ্ছা করলেই এক অফিস ছেড়ে অন্য অফিসে বা আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করতে পারবেন না। তাদের নিজ নিজ এরিয়া অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।’
পাসপোর্ট অধিদফতরের প্রকল্প পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন দুই হাজার লোক আবেদন করতে পারেন কিন্তু বাস্তব অবস্থা হলো প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ৬ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এতে পাসপোর্ট পেতে যেমন বিলম্ব হচ্ছে তেমনি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার ভোগান্তি বাড়ছে। এসব ভোগান্তি লাঘবে এরিয়া পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।’
ডিআইপি সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র বিদেশে অবস্থানরতরা এমআরপি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারছেন। কারণ বিদেশের ৭১টি মিশনে এখনো ই-পাসপোর্ট চালু করা সম্ভব হয়নি। কাজেই প্রবাসীদের সুবিধার্থে তাদের এমআরপি দিতে হচ্ছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এমও