চূড়ান্ত হলো ওষুধ আইন, সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৩
ঢাকা: লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ আমদানি, উৎপাদন, ভেজাল ওষুধ তৈরির মতো অপরাধে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ওষুধ আইন-২০২২ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। আইনটি এরপর সংসদের অনুমোদন পেয়ে বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ১৯৮২ সালের ড্রাগ অর্ডিন্যান্স এবং ১৯৪০ সালের ড্রাগ অ্যাক্ট দিয়ে এতোদিন চলছিল। পাশাপাশি ১৯৮৪ সালের ওষুধ নীতিমালাও অনুসরণ করা হচ্ছিলো। পুরনো আইনগুলোকে সমন্বিত ও হালনাগাদ করে নতুন এই আইনটি প্রনয়ন করা হয়েছে। নতুন আইনে কসমেটিকস যোগ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আইনটিতে মোট ত্রিশটি বিষয় রয়েছে যা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেজন্য নানা মেয়াদে জেল, জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সেখানে লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ আমদানি, উৎপাদন, ভেজাল ওষুধ তৈরির মতো অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন রাখা হয়েছে।
এছাড়া ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সে ট্রায়ালে নিরাপত্তা, কার্যকারিতা নিশ্চিত হবে। আইনটির মাধ্যমে ভ্যাকসিন লট কোয়ালিটি পরীক্ষা করা হবে।
তিনি আরও জানান, আইনের ফলে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধ হবে। কারণ আইনে উল্লেখ রয়েছে, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ থাকতে হবে। এছাড়া কসমেটিকসের উৎপাদন, বিতরণ পর্যবেক্ষণ করা হবে। কসমেটিক উৎপাদন, বিতরণ যারা করছেন তাদের লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর এটা ঠিক করবে ওষুধ প্রশাসন। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে নতুন আইনে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মানা হয়েছে আইনে। এটি এখন সংসদে উত্থাপন হবে, সেখানে পরীক্ষার পর চূড়ান্ত হয়ে বাস্তবায়ন শুরু হবে।
সারাবাংলা/জেআর/এমও