শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫৬
ঢাকা: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে এ বছর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যাবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য নেওয়া হবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভা শেষে জানানো হয়, শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবছর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাদের আগমন, অবস্থান ও প্রত্যাগমনের সময় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে।
একইসঙ্গে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎসংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা বলয়ে নিয়ে আসা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায ভিডিও সার্ভিলেন্স এর আওতায় নিয়ে আসা হবে। এন্ট্রি, এক্সিট পয়েন্টসহ প্রয়োজনীয় এলাকায় সিসিটিভি, নাইট ভিশন ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকবে।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বর এবং আজিমপুর কবরস্থান এলাকায় অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি কর্তৃক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগেই ট্রাফিক রোড ম্যাপ মিডিয়ার মাধ্যমে জানানো হবে। ঢাকা মহানগরের বাইরের অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায়, বিভাগীয় এলাকা, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মসূচিতেও সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকাস্থ বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিরা যেন শহিদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে সে জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা যেন নির্বিঘ্নে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারে। সে জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রস্থানের পর ৩০ মিনিট বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হবে।
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক প্রয়োজনীয় সংখ্যাক জনবল অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি, যন্ত্রপাতি লাইটিং ইউনিট মোতায়েন থাকবে। বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস সমন্বয় করে কাজ করবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্স ও ওষুধসহ দুইটি চিকিৎসা ক্যাম্প থাকবে বলে সভায় জানানো হয়।
সারাবাংলা/জেআর/একে