জনসংখ্যার চূড়ান্ত হিসাব না দেওয়ায় অসন্তোষ ড. শামসুল আলম’র
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৪৮
ঢাকা: জনসংখ্যান চূড়ান্ত হিসাব না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেছেন, এমনিতেই অনেক দেরি হয়েছে জনশুমারি করতে। সেখানে আবার এখন পর্যন্ত চুড়ান্ত হিসাব দেওয়া হচ্ছে না। এটা ঠিক নয়।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক সেমিনারে এভাবেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন ড. শামসুল আলম। সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিআইডিএস’র পোস্ট ইনুমারেশন চেক (পিইসি) প্রতিবেদন উঠে এসেছে, প্রবাসী বাংলাদেশীদের হিসাব ছাড়াই দেশের জনসংখ্যা হয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। প্রাথমিক হিসেবে বাদ পড়েছে ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন।
ড. শামসুল আলম বলেন, ‘আজ (সোমবার) যদি চূড়ান্ত হিসাবটা দেওয়া যেতো তাহলে দেশের মানুষের তথ্যের চাহিদা পূরণ হতো। জাতি এটা চাচ্ছে। আপনাদের বুঝতে হবে। কেন আমরা বলতে পারছি না দেশের জনসংখ্যান এখন কত। বিআইডিএস ইচ্ছে করলে এটা করা যেত।’
এ সময় ড.শাহনাজ আরেফিন বলেন, ‘২০১৩ সালের পরিসংখ্যান আইন হিসেবে বিআইডিএস শুধু বাদ পড়াদের সংখ্যা জানাতে পারে। পরবর্তীতে বিবিএস হিসাব নিকাশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে।’
অপরদিকে সেমিনারে জানানো হয়, ‘বিবিএসসের জনশুমারি ও গৃহগননায় দেশে মোট ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ বাদ পড়েছিল। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় বাদ যায় ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং শহর এলাকায় বাদ পড়েলি ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে বাদ পড়েছিল ২ দশমিক ৬২ শতাংশ, পৌরসভা এলাকায় ২ দশমিক ৯৯ এবং সিটি করপোরেশন এলাায় ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষ।
শহর এলাকায় বেশি বাদ পড়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, শহরের পরিবারগুলোর বেশিরভাগ মানুষই কর্মস্থলে বা বাসার বাইরে ছিলেন। ফলে তারা বাদ গেছেন। এছাড়া অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে অনেকক্ষেত্রে গননাকারীরে ঢোকার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
বিআইডিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের শুমারিতে বাদ যাওয়া মানুষের তুলনায় অন্যান্য সময়ের শুমারিতে বেশি বাদ পড়েছিল। এক্ষেত্রে ২০১১ সালের শুমারিতে প্রাথমিক হিসেবে গণণার বাইরে ছিল ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ মানুষ। এছাড়া ২০০১ সালের শুমারিতে বাদ যায় ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ মানুষ। পরবর্তীতে পিইসিতে এগুলো যুক্ত করা হয়।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে এতে অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। বক্তব্য দেন- বিবিএসের মহাপরিচালক মো.মতিয়ার রহমান ও জনশুমারি প্রকল্পে পচিালক দিলদার হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম