মাদরাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা ঘটনা বলাৎকারের
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৯
ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি বাসা থেকে হাফেজ শরিফুল ইসলাম (১৪) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর মৃতদেহের সুরতহালে পুলিশ বলছে, সে বলাৎকারের শিকার হয়েছিল। এর জেরেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের পুর্ব রসুলপুরের বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
শরিফুল মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাজী আমির হোসেনের ছেলে। সে পূর্ব রসুলপুরের ৯ নম্বর গলির ৯তলা বাড়ির ষষ্ঠ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। তিন ভাইয়ের মধ্যে শরিফুল ছিল সবার ছোট।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আশরাফুল হক সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ‘শরিফুল ইসলামের মলদ্বার অস্বাভাবিক ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিল। তবে বিষয়টি কাউকে বলতে না পেরে নিজের ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তেরর প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান এসআই।
মৃত শরিফুল ইসলামের বড় ভাই শাহিন হাসান জানান, আলিনগরের জামিয়া নূরানীয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়তো শরিফুল। গত শুক্রবার সে হাফেজ পড়া সম্পন্ন করে। ওই রাতেই সে বাড়িতে আসে। এরপর সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। সোমবার বিকেলে বাবা তাকে আবার মাদরাসায় যাওয়ার জন্য বললে তখন শরিফুল তাকে জানায়, সে মঙ্গলবার (আজ) মাদরাসায় যাবে। এরপর রাত ১০টার দিকে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।
অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও দরজা না খোলায় তাদের সন্দেহ হলে তাকে ডাকাডাকি শুরু করেন। পরবর্তীতে রুমের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তখন ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ