ঢাকা: আলোচিত নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলার দুই গৃহকর্মী সাক্ষীকে যাতায়াত খরচবাবদ এক হাজার টাকা করে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
বিচারক বলেন, ‘আসামিপক্ষ দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য পেছানোর কথা বলেছেন। তারা কাজে না গিয়ে টাকা খরচ করে আদালতে এসেছেন। কাজেই এই খরচটা আসামিপক্ষকে বহন করতে হবে।’
এর আগে, বিচারক দুই সাক্ষীরর কাছে জানতে চান, পরবর্তী তারিখে তারা আসতে পারবেন কি না। উত্তরে তারা বলেন, ‘হ্যাঁ, আসতে পারব।’ এরপর বিচারক এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার সরদার জানান, আজকে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। শিমুর স্বামীর বাসার দুই গৃহকর্মী শান্তা বেগম ও আমেনা বেগম সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন। এ মামলায় রাষ্ট্রনিযুক্ত দুই আইনজীবী সাক্ষীদের জেরা করতেন। তবে আসামিপক্ষ এতে সন্তুষ্ট ছিল না। এজন্য তারা নতুন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার কথা আদালতকে জানান। পাশাপাশি নতুন সাক্ষীদের সাক্ষ্য না নেওয়ার প্রার্থনা করেন। আদালত নতুন কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য না নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। আর ওই দুই গৃহকর্মীকে যাতায়াত খরচবাবদ আসামিপক্ষকে দুই হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষ এতে সম্মত হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন— শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও এস এম ফরহাদ।
এ নিয়ে মামলাটিতে দুই জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। শুনানিকালে দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় কেরানীগঞ্জ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিমুকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই হারুনুর রশীদ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। পরে এই দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত বছর ২৯ আগস্ট মামলাটি তদন্ত করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম দুইজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর বিচার শুরু আদেশ দেন আদালত।