ইরফান সেলিমের জামিন বাতিল, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১১
ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানে নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগের মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন মামলাটি চার্জশুনানির জন্য ধার্য ছিল। ইরফান সেলিম অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। এ ছাড়া তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় চার্জশুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে ইরফান সেলিমসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আগামী ৬ মার্চ সাক্ষগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
বিচার শুরু হওয়া অপর ৪ আসামি হলেন, এরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মিজানুর রহমান, মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন। এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মিজানুর ও দীপু জামিনে আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।
এরফান সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ এসব তথ্য জানান।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মমিনুল হক।
সারাবাংলা/এআই/ইআ