Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘৬ মাসে ১২ হাজার ৪৫২.১২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫৫

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ গত ৬ মাসে ১২ হাজার ৪৫২.১২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্ন উত্তরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য রুমানা আলীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বুধবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি উচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্ত দেশ। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির পরও ২০২০-২০২১ এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স যথাক্রমে ২৪.৭৭ এবং ২১.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ছাড়া, ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজার ৪৫২.১২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে রেমিট্যান্সের কোন বিকল্প নেই। তাই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সরকার নতুন শ্রম বাজার অনুসন্ধান, বিদ্যমান বাজার সুসংহতকরণ এবং সম্প্রসারণের পাশাপাশি বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠান সহজিকরা, বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহ দেওয়া, রেমিট্যান্স প্রেরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রণোদনা দেওয়া, সচেতনতা তৈরি, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি, অধিক সংখ্যক গুণগত ও টেকসই মানব সম্পদ প্রেরণসহ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে ‘

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম কেন সরকার বাড়াতে বাধ্য হয়েছে তার কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, আমদানিকৃত তরল গ্যাসের ব্যবহার, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ, উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে সমন্বয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্যমানের সমন্বয়ের কারণে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকীর পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকী কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার দাম কিছুটা বাড়িয়েছে।

জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমামের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী সব প্রকার জ্বালানির মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এ ছাড়া, জ্বালানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয়, যেমন: বিমা খরচ, ঝুঁকি ব্যয়, ব্যাংক সুদ, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকা মূল্যমান সমন্বয় করায় সামগ্রিকভাবে জ্বালানি খাতে ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি মূল্যও অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি বাবদ দিতে হচ্ছিল।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চলমান কৃষি সেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বর্ধিত চাহিদা মেটানো, শিল্প খাতে উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং রপ্তানিমুখী বিভিন্ন কলকারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে স্পট মার্কেট হতে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানি করে উক্ত বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে হবে, সে কারণে সরকার অন্যান্য ভোক্তা শ্রেণিকে অপরিবর্তিত রেখে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ, শিল্প, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ও বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই খাতসমূহে গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য স্পট মার্কেট হতে এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া এরইমধ্যে নেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অপচয় রোধ করার মাধ্যমে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: নিয়মিত ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরা, জরিমানা আদায়, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ইত্যাদি।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর