মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রবীণ রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আমার রাজনীতি, আমার জীবননীতি’ এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণসমূহের সংকলন ‘স্বপ্ন জয়ের ইচ্ছা’ শীর্ষক বইদ্বয়ের প্রকাশনা উৎসবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এই আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি হামিদ তার রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাসহ আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ লেখার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুই আমার রাজনৈতিক গুরু, তার কাছেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি।’

প্রধান অতিথির ভাষণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানের রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানম, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, গ্রন্থটির মূল আলোচক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানম ‘আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি’ বই এর প্রকাশনা সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বইটি অনেক ঘটনারই সাক্ষী আমি.. বিশেষ করে, কলেজ জীবন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোর স্মৃতি আজও আমাকে নাড়া দেয়।’

স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী রাষ্ট্রপতিকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘সিনিয়রদের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা নতুন প্রজন্মকে জানানোর প্রয়াস থেকেই রাষ্ট্রপতির ইচ্ছের প্রতিফলন- এই পুস্তক রচনা।’

প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘লেখক, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং আমি একে অপরের বন্ধু ছাত্র জীবন থেকেই। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্নেহ করতেন। সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হিসেবেও রাষ্ট্রপতি হামিদ কর্মক্ষেত্র তার মেধার সাক্ষ্য রেখেছেন বিভিন্ন সময়ে।’

পরে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের সম্মানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

সারাবাংলা/এনআর/এমও

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রাষ্ট্রপতি