রেল যোগাযোগে ৩ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৪
ঢাকা: রেলওয়ের ৩ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৬৯.২০ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল পরিবহনের জন্য নির্মিত রেলপথসহ দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ‘ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনও চালু হলো।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত অংশের ১১ কিলোমিটার রেলপথসহ রেলওয়ের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকেল্পর আওতায় নবনির্মিত ৬৯.২০ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি রুপপুর শশীদল ও জয়দেবপুর প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
প্রকল্পের মধ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর রেলস্টেশনটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মালপত্র ও যন্ত্রপাতি আনার সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেশনটি চালু করতে ৩৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় ২৬ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত লাইনটিতে ট্রেন চলাচল প্রায় ৩৫ বছর ধরে বন্ধ ছিল।
এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে ডাবল লাইনে উন্নীত করতে আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন করা হচ্ছে। ৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ ৯ বছরেও শেষ হয়নি। এ রুটের কসবা থেকে মন্দবাগ এবং শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে এ লাইনের লাকসাম থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার ডাবল লাইন গত সেপ্টেম্বরে ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বাকি ৩৪ কিলোমিটারের কাজ আগামী জুনে শেষ করার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধাও রয়েছে। তবে রেলের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, এখন হরদম কাজ চলছে।
অন্যদিকে, ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়া-আসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ঢাকা-টঙ্গী, টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন। অথচ এই দুই সেকশনে দু’টি ডুয়েলগেজ লাইন ও একটি ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন রয়েছে। যে কারণে এই পথে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বেশি সংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যায় না। তাই ঢাকা থেকে আরও বেশি ট্রেন পরিচালনা করার পাশাপাশি ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১২ সালের নভেম্বরে।
এই প্রকল্পের আওতায় অপারেশনাল ক্যাপাসিটি বাড়াতে প্রকল্পের আওতায় সিগন্যালিং ও টেলিকম কাজসহ ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে দ্বিতীয় ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ করা হয়।
রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর।
সারাবাংলা/এনআর/এমও