চট্টগ্রাম ব্যুরো: কারাবন্দি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বিভিন্ন ব্যাংকের এক হাজার ১৪২ কোটি টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে ফেনী সদর থেকে জসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জসিম উদ্দিন চৌধুরীর (৬১) বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারি গ্রামে। তিনি ও তার ভাই ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠান রাইজিং স্টিল মিলের অন্যতম পরিচালক। তাদের আরেক ভাই আমজাদ হোসেন চৌধুরী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আসলামের স্ত্রী জামিলা নাজনীন মওলা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, জসিমের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপের অভিযোগে ৭টি এবং অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে সীতাকুণ্ড থানায় একটিসহ মোট ৮টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। গ্রেফতারের পর তাকে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে শীর্ষ ২০ জন ঋণখেলাপি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়। এতে আসলাম চৌধুরীর পারিবারিক মালিকানাধীন রাইজিং স্টিল লিমিটেডের ঋণ ১ হাজার ১৪২ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়।
র্যাব জানায়, ঋণখেলাপিদের নিয়ে ছায়া তদন্তে নেমে র্যাব তথ্য পায়, জসিম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেসরকারি এবি ব্যাংকের ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই নগরীর হালিশহর থানায় দুদকের দায়ের করা একটি মামলার বিচার চলছে। ওই মামলার পলাতক আসামি হিসেবে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।
এছাড়া জসিমের বিরুদ্ধে নগরীর ডবলমুরিং ও সীতাকুণ্ড এবং ঢাকার মতিঝিল থানায় আরও ৭টি পরোয়ানা পাওয়া যায়। এসব মামলায় প্রায় ছয় বছর ধরে জসিম পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বলে র্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন আসলাম চৌধুরী। ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার’ অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ-নাশকতাসহ আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ২৬টি মামলা আছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ছয়টি মামলায় তার বিচার চলছে।