Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্রয়লার মুরগি-ডিমের বাজারে আগুন, সবজিতে স্বস্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৪

ঢাকা: রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে যে ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে সেটা এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা।

নতুন করে ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধি নিয়ে অনেকটা ক্ষুব্ধ ও হতাশ নিম্ন আয়ের মানুষসহ মধ্যবিত্তরা। দাম বাড়ায় মুরগি বিক্রি অনেক কমে গেছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।

ডিমের দামও ঊর্ধ্বমুখী। হালিতে দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। তবে সুখবর রয়েছে সবজির বাজারে। সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে স্বস্তি নেমে এসেছে।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাওরানবাজার ও বাড্ডাবাজার ঘুরে দামের এই চিত্র দেখা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ৩০ টাকা বৃদ্ধি নিয়ে কাওরানবাজারের মুরগি বিক্রেতা রাশেদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, দাম আসলে আমরা বাড়াই না। আমরা গত সপ্তাহে কেজিতে ৫-৮ টাকা বেশি দিয়ে কিনে ১৯০ টাকা বিক্রি করেছি। গতকাল একই মুরগি কিনতে হয়েছে ২১০ টাকায়। এরপর অন্যান্য খরচ তো আছেই। এখন আমরা কত বিক্রি করবো বলেন?

কাওরানবাজারে বাজার করতে আসা আব্দুল হেকিম মিয়া বলেন, বাজারেতো আজকে আগুন দেখছি। ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম অনেক বেড়ে গেছে। গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য আমাদের নেই। খাসির মাংস তো প্রশ্নই আসে না। ব্রয়লার মুরগিটা খেতাম। এখনতো দেখছি এটাও খাওয়া যাবে না। সবজি খেয়েই ঢাকা শহরে থাকতে হবে।

এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ে। বাসার ভাড়া বছর প্রতি বাড়ে। গাড়ি ভাড়া মাসে মাসে বাড়ে। কিন্তু আমরা যে চাকরি করি আমাদের কি বেতন বাড়ে? আমাদের দিকে সরকারের নজর কোথায়? আমরা তো মরেই যাচ্ছি বাজারে এসে। কেউ কি খবর রাখে আমাদের!

কাওরানবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত মাসেও ব্রয়লার মুরগির বাজার ছিলো ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। সেই দাম মাসের ব্যবধানে এখন ২২০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০০-৫২০ টাকা। এছাড়া ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে হালিতে ১০-১৫ টাকা। এখন ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৩০-১৩৫ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।

বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, প্রতি পিস পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। শসা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। লম্বা ও গোল বেগুন কেজি প্রতি ৫০ টাকা। টমেটো কেজি ৪০ টাকা। শিম কেজি ৬০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, চাল কুমড়া পিচ ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া পিচ ছোট ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০, পটল ৫০, ঢেঁড়স ৭০, পেঁপে কেজি ৪০, বরবটি ৮০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচামরিচ কেজি ১২০ টাকা, দেশি মসুর ডাল কেজি ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল ১২৫ টাকা।

সবজির পাশাপাশি কিছুটা স্বস্তি রয়েছে মাছ বাজারে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ২২০ টাকা, ছোট কই ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ৪২০ টাকা, রুই মাছ মাঝারি ৩৭০ টাকা, শোল মাছ বড় ৯০০ টাকা, টেংরা মাছ মাঝারি ৬৭০ টাকা, চিংড়ি মাছ বড় ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা রাশেদ হাসান সারাবাংলাকে বলেন, মাছের বাজার গত সপ্তাহে বেড়েছিলো। এই সপ্তাহে মাছের দাম বাড়েনি। সরবরাহ কমে গেলেই দাম বাড়ে। এখন আগামী সপ্তাহে যদি সরবরাহ কমে যায় তাহলে দাম বাড়তে পারে।

বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে, গরুর মাংস ও খাসির মাংস। ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। আর খাসির মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে  এক হাজার টাকায়।

সারাবাংলা /এসজে/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর