‘আওয়ামী লীগকে রাজপথে দেখলে বিএনপির গায়ে কাঁটা বিঁধে’

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগকে রাজপথে দেখলে বিএনপির গায়ে কাঁটা বিঁধে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে আছে এবং রাজপথেই থাকবে। বিএনপির কর্মসূচির দিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি এবং শান্তি সমাবেশ করছি। কারো সঙ্গে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না। আমাদের স্বাভাবিক কর্মসূচি আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-পোর্ট লিংক রোডে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘ফুল উৎসব’ উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা। সরকারে থাকি কিংবা না থাকি, যখন ছিলাম না তখনও রাজপথে ছিলাম। এখন সরকারে আছি, ভবিষ্যতে থাকলে তখনও রাজপথে থাকব। আওয়ামী লীগকে রাজপথে দেখলে মনে হয় তাদের গায়ে কাঁটা বিঁধে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ প্রায় শেষ, প্রকৃতপক্ষে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে প্রথম সড়ক টানেল। এত দীর্ঘ টানেল উপমহাদেশের আর কোথাও নেই। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটির ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ শুরু হয়েছে। উড়াল সড়ক হয়েছে আরো হচ্ছে। গত ১৪ বছরে এভাবে চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন সাধন হয়েছে। আরো অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ফুল উৎসবের আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সমুদ্রের পাড়ে এরকম নয়নাভিরাম একটা জায়গায় বিস্তৃত জলাশয় আছে, চারপাশে গাছপালা। এখানে স্বাভাবিক ভাবে অনেক পর্যটক আসেন, পর্যটকদের জন্য এটি একটা বাড়তি পাওনা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের জন্যেও একটা বাড়তি পাওনা। আমি আশা করব এই জায়গাটাতে প্রতিবছর তিনমাস ব্যাপী পুষ্প মেলা হবে। এই মেলা শুধু চট্টগ্রাম নয় সারাদেশের মানুষের আকর্ষণ হবে। প্রয়োজনে এখানকার জলাধারে ভাসমান ফুলের বেড করা যায়।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আমিনুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ।

সারাবাংলা/আইসি/এনইউ