বইমেলায় প্রতীক মাহমুদের ‘শূন্যের শহরে বায়োস্কোপ ভোর’
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:১৯
ঢাকা: অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে প্রতীক মাহমুদের কবিতার বই ‘শূন্যের শহরে বায়োস্কোপ ভোর’। মেলায় বাংলানামার ২১৪ নম্বর স্টলে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ, লেকপাড় সংলগ্ন) বইটি পাওয়া যাচ্ছে। বইটির মুদ্রিত দাম ২৭০ টাকা। এটির প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।
শূন্যের শহরে বায়োস্কোপ ভোরে ঠাঁই পেয়েছে অর্ধশত কবিতা। কবিতাগুলোতে রয়েছে প্রেম, নস্টালজিয়া, বৈরাগ্য, শৈশবের স্মৃতিকাতরা প্রভৃতি।
এই শহর নিদারুণ, ইট-পাথরের এই নগরী আটকে রাখছে আমাদের। এটিই যেন নিয়তি, যেন জীবনের পাওনা। তবুও তো লাগে টান হৃদয়বীণার গোপন কোনো তারে। যেখানে শৈশব জেগে, থই থই করে দুরন্ত স্মৃতির পর্বগুলো। এই সভ্যতার খোলসে নিদারুণ অসভ্যময় শহুরে জীবনে অতৃপ্ত বলেই কবিমন আশ্রয় খোঁজে সবুজের কাছে, ভিটেমাটির কাছে, যমুনার স্বচ্ছ জলের কাছে। শৈশবের স্মৃতিগুলো বায়োস্কোপের ফ্রেমে আটকাপড়ে দৃশ্যের মতো ম্রিয়মান অথচ প্রেরণাদায়ী। সব মিলিয়েই ‘শূন্যের শহরে বায়োস্কোপ ভোর’ কবিতার বই।
কবির উচ্চারণ—
আমার নাবিস্কো লজেন্স আর রঙিন আইসক্রিমের দিন
গন্ধের বয়স পার করে এখন শহুরে সৌখিন
এখন যমুনার পলি পিঠে এক রাখাল বালক
ইটের রাজ্যে জীবন ঘঁষে
বিশ্বাসে শোধ করি অবিশ্বাসের ঋণ
কিংবা—
আমি তো ফিরতে চাই কুপির আলোর গ্রামে
যেখানে নাইট স্কুলে বসা কোরবান দাদার অস্পষ্ট উচ্চারণে
বর্ণমালা মুক্তি পাচ্ছে।
কেবল আকুলতা নয় আধিপত্যবাদবিরোধী উচ্চারণও আছে কবিতায়—
দিনের আলোয় বহুমূত্রীয় রোগের বাহুল্যে
দেশে ঢুকে পড়েছে পাশ্চাত্য ইনসুলিন
ঢুকে পড়েছে সাম্রাজ্যবাদ ও আততায়ী বিস্ফোরক।
সুতরাং শূন্যের মাঝেও কবিমনের এই উচ্চারণ যেমন দ্রোহের তেমনি আশা জাগানিয়াও।
বইটি সম্পর্কে কবি প্রতীক মাহমুদ বলেন, ‘বইটি পাঠককে নিয়ে যাবে চেনাজানা প্রকৃতিতে। যা আমার-আপনার সবারই পাওয়া-না পাওয়ার অস্ফুট উচ্চারণ। আশা করি বইটি পাঠকের মন রাঙাবে।’
সারাবাংলা/একে