‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে’ যোগ দেওয়ার কথা স্বীকার করলেন শামীমা বেগম
১১ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৪৪
ঢাকা: ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগ দিতে লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ স্কুলছাত্রী শামীমা বেগম এক সাক্ষাতকারে স্বীকার করেছেন যে তিনি একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন।
বিবিসিকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে শামীমা বেগম এই প্রথমবারের মতো কীভাবে তিনি ২০১৫ সালে সিরিয়ায় গিয়েছিলেন তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আইএস সদস্যরা তাকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছিল, তবে এর পরিকল্পনা তিনি নিজেও করেছিলেন।’
শামীমা বেগম তুরস্ক হয়ে সিরিয়ার রাক্কায় পৌঁছানোর পর একজন ডাচ-বংশোদ্ভূত আইএস যোদ্ধার সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং সেখানে তার তিনটি সন্তান হয়— যাদের সবাই মারা গেছে।
আইএসের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করে তাকে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে।
‘জিহাদি বধূ’ হিসেবে সংবাদমাধ্যমে পরিচিত শামীমা বেগম ২০১৯ সালে ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত ‘খেলাফতে’র পতন হওয়ার পর থেকেই সিরিয়ার একটি বন্দীশিবিরে বাস করছেন। বর্তমানে তার বয়স ২৩ বছর এবং তিনি তার নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়া এবং লন্ডনে প্রত্যাবর্তনের জন্য ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে এক আইনি লড়াই চালাচ্ছেন।
‘আমি আর সেই মানুষ নেই’
শামীমা বেগম জানান, তিনি যুক্তরাজ্য থেকে বেরোতে পেরে স্বস্তি বোধ করেছিলেন এবং যাওয়ার সময় তিনি আর কখনো ব্রিটেনে ফিরে আসবেন এমন আশা করেননি।
তিনি জানান, তার প্রতি ব্রিটিশ জনগণের ক্রোধের কারণ তিনি বোঝেন এবং জানেন যে তারা তাকে তাদের নিরাপত্তা ও জীবনধারার জন্য বিপদ ও ঝুঁকির কারণে হিসেবে দেখেন।
তবে শামীমা বেগম এটাও বলেন যে তারা যা মনে করে আমি আর সেই মানুষ নেই।
তিনি জানান, তিনি খারাপ মানুষ নন এবং মিডিয়ায় তাকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে সেকারণেই লোকে তাকে খারাপ চোখে দেখে।
‘আমার মনে হয় তাদের রাগ আমার প্রতি যতটা তার চেয়েও বেশি আইসিসের প্রতি। যখনই তারা আইসিসের কথা ভাবে তখনই আমার কথা মনে হয় কারণ আমাকে মিডিয়ায় খুব বেশি তুলে ধরা হয়েছে।’
তিনি যে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন এটা তিনি মানেন কিনা– এ প্রশ্ন করা হলে শামীমা বেগম বলেণ, ‘হ্যাঁ, যোগ দিয়েছিলাম।’
সিরিয়ার একটি বন্দীশিবিরে বাস করছেন শামীমা বেগম সহ আইএস-সংশ্লিষ্ট আরো হাজার হাজার লোক – যাদেরকে তাদের দেশ আর ফেরত নিতে চায় না।
সারাবাংলা/একে