Saturday 12 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জনস্বাস্থ্য সবার উপরে, তামাকনিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৪০ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৩

ঢাকা: জনস্বাস্থ্য সবার উপরে। তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু কমাতে শক্তিশালী আইন জরুরি বলে মত প্রকাশ করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্সের (আত্মা) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন মন্ত্রী।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

এসময় প্রজ্ঞা এবং আত্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠির ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লক্ষ) তামাক ব্যবহার করে। তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় যে আর্থিক ক্ষতি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি। তামাকের এই ভয়াবহতা রোধে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এ লক্ষ্যে তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগী করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনীতে যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, সকল পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা; সব ধরনের খুচরা বা খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট, ভ্যাপিং, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ এ ধরনের সকল পণ্য উৎপাদন, আমদানি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯০ শতাংশ করা ইত্যাদি।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন- ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আত্মার আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন, বাংলা ট্রিবিউনের বিজনেস ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম এবং প্রজ্ঞার কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীরপ্রতীক)

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর