Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৪৯

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুনীল অর্থনীতির সমুদ্র নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রূপকল্প-২০২৩ বা ২০৪১ অনুযায়ী আমাদের সরকার জাহাজ, সরঞ্জাম ও জনবল বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছে। আমাদের কোস্ট গার্ড আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন সমৃদ্ধশালী ও শক্তিশালী বাহিনী হিসাবে গড়ে উঠবে।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সদর দফতরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য জাহাজ ও জনবল বৃদ্ধির পরিকল্পনা এই সরকার নিয়েছে। কোস্ট গার্ডের গভীর সমুদ্রে টহল উপযোগী আরও চারটি ওপিভি, নয়টি প্রতিস্থাপক জাহাজ, দু’টি মেন্টাম ভার্সন হেলিকপ্টার দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা আমাদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারবো।’

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালি করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ। মেরিটাইম সার্ভেলাইনস সিস্টেম, হোবার ক্রাফট ও দ্রুতগতি সম্পন্ন বোট বলেও অবহিত করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গভীর সমুদ্র কোস্ট গার্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার লক্ষে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি। তার সঙ্গে সংযোগও স্থাপন করা হয়েছে। কাজেই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারব।’

এ বাহিনীর মূলমন্ত্র হলো ‘Guardian at Sea’ অর্থাৎ ‘সমুদ্রে অভিভাবকত্ব অর্জন’। যার মর্মার্থ হলো- সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় জনগণের সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা।’ যা ইতোমধ্যে উপকূলীয় জনগণের মাঝে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। আমি চাই আমাদের কোস্টগার্ড আধুনিক, প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, উন্নত, শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক। কারণ বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। সেই সঙ্গে আমাদের বিশাল বিশাল নদী এবং আমাদের কোস্টাল বেল্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহণ, যাত্রী পরিবহন সকলের নিরাপত্তা বিধানে আপনারা বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছেন। আপনাদের দায়িত্বপালনে বাংলাদেশের জনগণই সব থেকে লাভবান হবে।’

কোস্ট গার্ডের প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব নিরাপত্তা দেওয়ার মাধ্যমে ঝুঁকিমূলক কার্যক্রম করে যাচ্ছে। যেমন, সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা দেওয়া, মাদক পাচার, অস্ত্র চোরাচালান, মানবপাচার, অবৈধ, অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য শিকার সমদ্র ও নদী দূষণ প্রতিরোধ, জলদস্যুতা বনদস্যুতা দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের জন্যই সমুদ্রসীমা ও উপকূল রক্ষায় এ বাহিনী প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সংসদে বিরোধীদলে থাকা অবস্থায় কোস্ট গার্ড আইন পাসে উদ্যোগী হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কোস্ট গার্ডের সদর দফতরে পৌঁছালে সশস্ত্র সালামে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানান বাহিনীর সদস্যরা। ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বছরজুড়ে উন্নয়ন, সাহসী অপারেশন ও সেবামূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কোস্ট গার্ডের ৪০ সদস্যকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে বাহিনীতে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মনোনীত কোস্টগার্ড কর্মকর্তা ও সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/ইআ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর