‘সুস্থ বাচ্চার জন্য মৃগীরোগীকে নিতে হবে নিউরোলজিস্টের পরামর্শ’
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ‘আন্তর্জাতিক মৃগীরোগ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে চিকিৎসকেরা এই রোগ নিয়ে প্রচলিত ধারণা ও কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, মৃগী রোগে আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের আগে ও গর্ভকালীন সময়ে নিউরোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ খেয়ে সুস্থ থাকার পাশাপাশি সুস্থ বাচ্চাও জন্ম দিতে পারে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান এসব কথা বলেছেন। চমেকের নিউ কনফারেন্স হলে নিউরোলজি বিভাগ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে ‘মৃগী রোগের প্রচলিত ধারণা ও বাস্তবতা’নিয়ে বৈজ্ঞাানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘মৃগী রোগের চিকিৎসায় ঝাড়ফুঁক নয়, অন্য সাধারণ রোগের মতো সঠিক চিকিৎসা নিলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃগীরোগের উপসর্গ অন্য কোনো রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে। তাই পরিবারের কারও মৃগী রোগের উপসর্গ দেখা দিলে বৈদ্য কিংবা কবিরাজের অপচিকিৎসা না নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।’
‘মৃগী রোগ নিয়ে সমাজে অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। কেবল রোগের ইতিহাস ও খিঁচুনির ভিডিও দেখে কোনো রকম দামী পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। ৯০ শতাংশ রোগী ওষুধ খেয়ে ভালো থাকে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রোগী মাত্র ২ থেকে ৫ বছর ওষুধ খেয়ে রোগমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. পীযুষ মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলাম, চমেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনোয়ার উল হক শামীম, নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহিতুল ইসলাম, ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, ডা. পঞ্চানন দাশ, ডা. শিউলি মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার, ডা. মসিহুজ্জামান আলফা, ডা. তৌহিদুর রহমান, ডা. মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া, ডা. জামান আহম্মদ, ডা. মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দীন এবং কনসালটেন্ট ডা. সীমান্ত ওয়াদ্দাদার উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনার শেষে বের হওয়া শোভাযাত্রা চমেক হাসপাতালের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিউরোলজি বিভাগের সামনে এসে শেষ হয়।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ