Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মো. সাহাবুদ্দিন মাটি ও মানুষের লোক: জি এম কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৫৬

ঢাকা: নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে বনানীতে দলটির কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ অভিনন্দন জানান তিনি।

জি এম কাদের বলেন, তিনি একজন দেশপ্রেমিক। মাটি ও মানুষের লোক। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অবদান রেখেছেন। আশা করছি দেশ ও জাতির কল্যাণে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি বলেন, তার কাছে প্রত্যাশা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থেকে সব দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে সমান চোখে দেখবেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ফলাফল যাই হোক, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দেশের মালিক জনগণ, তারা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।

তিনি বলেন, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যদি জনগণের ইচ্ছেমত দেশ পরিচালনা ব্যর্থ হয় তাহলে দেশের জনগণ আবার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিবর্তন করবেন। স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত রাখতেই আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।

জি এম কাদের

উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

পরে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (মো. সাহাবুদ্দিন) পেশায় একজন আইনজীবী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য। তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইতিপূর্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীর দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্র জীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারা বরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।’

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।

সারাবাংলা/ এ এইচ এইচ/ এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর